পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ার আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষা ও উদ্ভূত সংকট নিরসন করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাশিয়ার সাথে তুরস্ক ও ইরান একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হানান রুহানি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। খবরে বলা হয়, তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগ অব্যাহত রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন দুই নেতা। গত মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মধ্যে ফোনালাপে এসব প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়। তুর্কি প্রেসিডেন্টের অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে এরদোগান তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেন, উত্তেজনা বাড়ার সুযোগ দেয়া উচিত হবে না। সিরিয়ার সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়ার একযোগে কাজ করে যাওয়ার ওপর জোর দেন তিনি। দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতেও দুই নেতা কথা বলেন। সিরিয়ায় আসাদ সরকারে রাসায়নিক উৎপাদন স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র গত শনিবার একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর দুই নেতা এই ফোনালাপ করেন। চলতি মাসের শুরুতে পূর্ব ঘৌতার দৌমায় সিরীয় সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে পশ্চিমা তিন দেশ ওই হামলা চালায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।