ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের কোন্দলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার দুপুরে শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অবকাশ ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে।
জানা যায়,গত ৩ মার্চ শাখা ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর থেকে পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে মহড়া এবং ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। বুধবার দুপুর ১টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল তাদের অনুসারীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এসময় তারা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে মহড়া দিয়ে অবকাশ ভবনের ছাত্রসংসদ কক্ষে প্রবেশ করে। পরে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে মিছিল ও শোডাউন দিয়ে অবকাশ ভবনে তালা ঝুলিয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে প্রায় একঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় তারা স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও কোতয়ালি থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলে আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছি। কিন্তু কোন ধরণের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাইনি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীকে একাধিকবার ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড.নূর মোহাম্মদ বলেন, ছাত্রলীগের দুপক্ষের উত্তেজনায় বিশ্ববিদ্যালয় অবকাশ ভবনে তালা লাগানো হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তালা ভেঙে অবকাশ ভবন উন্মুক্ত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।