নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০১৫ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডা স্পোর্টস কমপ্লেক্স গ্রাউন্ডকে নিজেদের ‘ঘরের মাঠ’ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে আফগানিস্তান। বিসিসিআইয়ের অনুমতি সাপেক্ষে দেহরাদুন হচ্ছে আফগানদের ‘দ্বিতীয় ঘরের মাঠ’। উত্তরাখন্ডের এ ভেন্যুতেই জুনের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে আফগানিস্তান। তবে সিরিজের সূচি এখনো ঠিক হয়নি।
ক’দিন আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, তারা আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে দেহরাদুনের বিকল্প ভেন্যু ঠিক করার কথা বলেছেন। বাংলাদেশ সিরিজটা বেঙ্গালুরু কিংবা কলকাতায় খেলতে বেশি আগ্রহী বলে জানান নাজমুল। গতকাল বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান আকরাম খান জানালেন ভিন্ন কথা। সাবেক এই অধিনায়ক বলছেন, ভেন্যু নিয়ে কোনো জটিলতার কথা তার জানা নেই। নতুন যে বিষয়টি সামনে এসেছে, এ সিরিজ কোন সংস্করণে খেলতে চায়, সেটি নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার প্রস্তাব দিয়েছে। বিসিবি এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে নাকি টি-টোয়েন্টি খেলবে। আকরাম সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘যত দূর জানি ভেন্যু নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমরা কোন সংস্করণে খেলতে চাই সেটাই হচ্ছে ব্যাপার। ওরা ওয়ানডে খেলতে চায়। আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা আমাদের সুবিধা অনুযায়ী খেলতে চাইব।’
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেই মার্চে কলম্বোয় বাংলাদেশ নিদাহাস ট্রফি খেলেছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। আবার জুনের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রওনা দিতে হচ্ছে, যে সফরটা শুরু হবে টেস্ট দিয়ে। আফগানিস্তান কদিন আগে বিশ্বকাপ বাছাই খেলেছে ওয়ানডে সংস্করণে। প্রতিপক্ষ ও নিজেদের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভেবেই একটু দ্বিধায় বিসিবি।
একই দিন আকমার খানের নিকট প্রশ্ন ছিল আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে। সেটিরও কোন সঠিক দিশা দেখাতে পারেননি বিসিবির এ পরিচালক। চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দুই ম্যাচের টেস্ট ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। তবে, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সিরিজটি খেলতে চাইছে না অস্ট্রেলিয়া। এরই মধ্যে বেশ ক’বার সিরিজটি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু তার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। গত মাসে আইসিসির সভা থেকে ফিরেও এই সিরিজ নিয়ে আশানুরূপ কোন বার্তা দিতে পারেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এবার সফরটি নিয়েই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আকরাম। তিনি জানিয়েছেন চলতি বছর অজিদের সাথে সিরিজ খেলার সম্ভাবনা খুবই কম, ‘এ সময় ওরা খেলবে না। এটা অনেক আগেই ওরা জানিয়ে দিয়েছে। এ বছরের সম্ভাবনা খুবই কম। শিডিউলটা ওরা পরের বছর জানাবে।’
আগস্ট-সেপ্টেম্বরে না খেললে এই সিরিজের জন্য আর সময় হাতে নেই বাংলাদেশ দলের। কারণ পুরো বছরটিই ব্যস্ততায় কাটবে বাংলাদেশ দলের। আকরাম খানও একই কথা জানিয়েছেন। টাইগারদের ব্যস্ত সূচির কথা তুলে ধরে সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশ দল এ বছর অনেক ব্যস্ত সময় কাটাবে। জুনে আফগানিস্তান সিরিজ, জুলাইয়ে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবে, সেখান থেকে ফ্লোরিডায় যাবে টি-টোয়েন্টি খেলতে। এরপর সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে এশিয়া কাপ, ফিরেই বিপিএল খেলবে। বিপিএলের পর বাংলাদেশ সফরে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।