পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে বিএনপি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না দিয়ে কেবল শর্ত দেয় বলে বিদেশি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। গতকাল রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ১০টি দেশের ২৭ জন সাংবাদিকের সাথে মত-বিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বিএনপির এসব অভিযোগের বিষয়টি নিয়েই তথ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয় মতবিনিময়ে। একজন বিদেশি সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আপনারা কী উদ্যোগ নিচ্ছেন?’ জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো চাই তারা নির্বাচনে আসুক। আলোচনার পথ উন্মুক্ত রেখেছি। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না দিয়ে শুধু শর্ত দেয়।
সরকারের এই মুখপাত্র বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি এখনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত আছে। একটি অস্বাভাবিক সরকার তৈরির পাঁয়তারাতে আছে। এজন্য গণতন্ত্রের পক্ষে কোনো প্রস্তাবনা আজ পর্যন্ত তুলে ধরতে পারেনি। উগ্রবাদীদের হাতে বেশ কয়েকজন বøগার হত্যার ঘটনায় সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে-এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বøগার হত্যার বিচার চলছে। বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল দেখা গেলেও ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল কেন দেখা যায় না কেন-ভারতীয় সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ইনু বলেন, বিষয়টি ব্যবসায়িক। বেশ কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমরা ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ-আলোচনা করছি। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোড়বদলকারী অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ ও সংবিধানের চার নীতির ওপর শক্ত অবস্থানই বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করছে। ইনু বলেন, বিস্ময়কর উন্নয়নের এ পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল সা¤প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদের বিরূদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান সেই বাধা অতিক্রম করতে সাহায্য করেছে। একথা সত্য যে, অনভিপ্রেত এসব বাধা-বিপত্তি না থাকলে দেশের আরো দ্রææত উন্নয়ন সম্ভব। পঁচাত্তর সালে বিপথগামী সামরিক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়া এবং পরবর্তী সামরিক-স্বৈরশাসনকালে অপরাধীদের বিচার থেকে অব্যাহতি দেবার কুপ্রথা থেকে বেরিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিচারের সংস্কৃতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সফররত সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ভিজিট বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় ১৪ থেকে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ সফররত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছে কানাডার কলিন রবার্টসন, কোরিয়ার মিনহিউং লি এবং সেহওয়ান পার্ক, জার্মানীর কেভিন পিটার হোফম্যান, বার্ন্ট হেলজি বার্গার এবং ক্লডিয়া এ্যাসট্রিড সোলকেন, ফ্রান্সের লিডিয়া বেন ইজহাম, ইথিওপিয়ার ব্রæ ইহুনবিলে মেনজিসটু, আবেত গ্রুম, আটো ক্রিসটিয়ান এবং মুলুকেন ইয়েওন্ডোসেন কিফলে, ব্রাজিলের মার্সিয়া হেলেনা গনকালভেস রোলেমবার্গ, ফাবিয়ানা কুইরোজ মেনডেস সেবান এবং জুলিয়ানো দ্যা সিলভা কর্টিনবাস।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের দিবাদীপ পুরোহিত, দেবদূত ঘোষঠাকুর, অমল সরকার, প্রিয়াংকা দাসগুপ্ত, ভিনীতা পান্ডে, গৌতম লাহিড়ী, ফিলিপাইনের বাডি ও’ কুনানান, তুরস্কের সেইমা নাজলি গুর্বুজ, ইউসুফ সেমান ইনাঙ্ক, ড. নাজমি আগিল, ফারুক টোকাট ও আহমেদ কসকুনেইডিন ও থাইল্যান্ডের এরিক পারপার্ট এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতান মাহমুদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক এম দেলোয়ার হোসেনসহ তথ্য ও পররাষ্ট্র দু’মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।