Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানে চীনের বিমানবন্দর ও বন্দর তৈরির হিড়িক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইসলামাবাদের নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন বিমান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এটা নির্মাণ খরচে বেইজিংয়ের অংশগ্রহণ রয়েছে। আর এটি নির্মাণ করেছে চায়না স্টেট কন্সট্রাকশান ইঞ্জিনিয়ারিং কোঅপারেশান (সিএসসিইসি)। শনিবার এটার কার্যকারিতাও পরীক্ষা হয়ে গেছে মসৃণভাবে। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান এখানকার দুটো রানওয়ের একটিতে অবতরণ করে।
২০১১ সালে আন্তর্জাতিক টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যৌথভাবে এটি নির্মাণের জন্য চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এবং পাকিস্তানী ফামের’ সাথে চুক্তি হয়।
১৮০,০০০ বর্গমিটার জায়গা নিয়ে নির্মিত টার্মিনালে ১৫টি গেট রয়েছে। যে সব উপাদান এখানে ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলো চীন থেকে প্রস্তুত করা। এখানে শুধু একসাথে স্থাপন করা হয়েছে এগুলোকে। এই বিমানবন্দরটি বছরে ৯ মিলিয়ন যাত্রী এবং ৮০,০০০ টন কার্গো ব্যবস্থাপনায় সক্ষম। সিএসসিইসি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে পিপলস ডেইলি। টার্মিনালের মধ্যে চার-তারকা হোটলও রয়েছে একটি। এছাড়া রয়েছে ডিউটি ফ্রি দোকান, ফুড কোর্ট এবং ৪২টি ইমিগ্রেশান কাউন্টার। নতুন বিমানবন্দর প্রধান সব রকমের বড় বড় বিমান যেমন এয়ারবাস এ৩৮০ এবং এ৩৫০ এবং বোয়িং ৭৪৭-৮ ধরনের বিমানগুলোকেও সেবা দিতে পারবে। তৃতীয় একটি রানওয়ের নির্মাণকাজও চীনা নির্মাতাদের একটি গ্রুপকে দেয়া হয়েছে। করাচি-ভিত্তিক ইংরেজি ভাষার দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন গত বছরের এপ্রিলে এক রিপোর্টে জানায় যে, নতুন বিমানবন্দরটি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নামে নামকরণ হতে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানান যে, প্রেসিডেন্ট শি এবং দুই দেশের সম্পর্ককে সম্মান জানাতেই পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে অবশ্য পাকিস্তানের বিমান কর্তৃপক্ষ ওই রিপোর্টকে প্রত্যাখ্যান করেন। তারা জানান, পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের নামে ওই বিমানবন্দরের নামকরণ করা হবে। এর আগে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলো জানায় যে, গোয়াদরে নৌ ও সাবমেরিন ঘাঁটি গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে বেইজিং। পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিবুতির পর এটা হবে দেশের বাইরে পিপলস লিবারেশান আমির’ দ্বিতীয় সামরিক ঘাঁটি।
২০১৫ সাল থেকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এলাকার আশেপাশের উপকূলীয় অঞ্চলের বিশাল বিশাল জমি সিএসসিইসি ও অন্যান্য চীনা-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে ৪০ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে পাকিস্তান। ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যায়ে বন্দর ও পরিবহন উন্নয়ন অবকাঠামো তৈরির জন্য এই জমিগুলো লিজ দেয়া হয়েছে। গোয়াদর বন্দর থেকে উত্তরে চীনের জিনজিয়াংয়ের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল পর্যন্ত রেললাইন ও পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল পরিবহনের বিকল্প একটি রুট তৈরি হবে বেইজিংয়ের জন্য। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তানে

৮ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ