নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাইন্ডের দ্বিতীয় দিনটাও হয়ে থাকল ব্যাটিংবান্ধব। যার পূর্ণ ফয়দা নিয়ে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়েছে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল।
আগের দিন সাদমানের সেঞ্চুরি ও সাইফের ‘প্রায় সেঞ্চুরি’ ইনিংসের পর কাল শতক হাঁকিয়েছেন মার্শাল আয়ুব। ১৩২ রানের দারুণ ইনিংসে তিনি পাশে পেয়েছেন তানবীর হায়দার ও মোশাররফ হোসেনকে। উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে তাদের মধ্যাঞ্চলও গড়ে ৫২৯ রানের পাহাড়সম ইনিংস।
পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে চারশর্ধো রানের সংগ্রহ গড়েছে দক্ষিণাঞ্চলও। ৭ উইকেটে ২৯৯ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করা দক্ষিণ কাল অল-আউট হওয়ার আগে করেছে ৪০৩ রান। আগের দিন তুষার ইমরানের শতক ও ফজল মাহমুদের অর্ধশতকের পর কাল নয় নম্বর ব্যাটসম্যান দেলোয়ার হোসেনের ৬৩ ও অধিনায়ক নুরুল হাসানের অপরাজিত ৪৪ রানের কল্যাণে বড় সংগ্রহ পায় দক্ষিণ। অষ্টম উইকেটে দুজনে গড়েন ১০৭ রানের জুটি। পূর্বের হয়ে ৪ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মধ্যাহ্ন বিরতির খানিক আগে বৃষ্টির কারণে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। বিরতির পরপরই শেষ হয় মধ্যাঞ্চলের ইনিংস। এরপর আবার আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির বাধায় খেলা হয়েছে থেমে থেমে। দিনের খেলা শেষও হয়েছে আগেভাগেই। দিনের বাকি সময়ে পূর্বাঞ্চলের ভাগে ছিল ৭১ ওভার। কিন্তু তারা মাত্র ৩৩ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায়। যা থেকে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৫ রান। একমাত্র প্রতিরোধ এসেছে ৬০ রান নিয়ে ক্রিজে থাকা লিটন দাশের ব্যাট থেকে। আফিফ হাসান ও ইমতিয়াজ হোসেনের উইকেট দুটি নেন কামরুল হাসান রাব্বি। দিনের শেষ ওভারে মোহাম্মাদ আশরাফুলকে (৫৯ বলে ১২) এলবিডবিøউয়ের ফাঁদে ফেলেন তারই সাবেক জাতীয় দলের সতীর্থ আব্দুর রাজ্জাক।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় আরেক ম্যাচের দিনটা ছিল মার্শাল আয়ুবের। আগের দিন অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে, দলের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ২৪৯ রান। সঙ্গী ইরফান শুক্কুর দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন কোন রান না করেই। এরপর তানবীর হায়দারের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটি। তানবীর ফেরার পর মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়ার পর আরিফুল হাকের বলে জুনায়েদ সিদ্দিকির হাতে ধরা পড়েন আয়ুব। ক্যারিয়ারের ১৬তম প্রথম শ্রেনীর শতকটি সাজান ২১০ বলে ১৪টি চার ও ১ ছক্কায়। ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোশাররফ। শেষ উইকেটে এবাদত হোসেনকে নিয়ে মূল্যবান ৫৯ রান যোগ করেন এই স্পিন-অল রাউন্ডার। ৭৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে উত্তরের সেরা বোলার আরিফুল হক। মাত্র ১ ওভার ব্যাটিয়ের সুযোগ পায় উত্তর। অঘটন না ঘটলেও তা থেকে কোন রান করতে পারেনি তারা।
আগের তিন রাউন্ডের ছয় ম্যাচের পাঁচটিই হয়েছে ড্র। তাতে অবশ্য বৃষ্টির দায়ও ছিল। আতি নাটকীয় কিছু না হলে সেই একই পথে হাটছে চতুর্থ রাউন্ডের খেলাও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল, সিলেট
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : (প্রথম দিন শেষে ২৯৯/৭) ১০৪.৪ ওভারে ৪০৩ (শাহরিয়ার ১৭, এনামুল ৬, মাহমুদ ৮৯, তুষার ১৩০, সৌম্য ৪, মিঠুন ২২, নুরুল ৪৪*, নাঈম ০, দেলোয়ার ৬৩, রাজ্জাক ০, রাব্বি ০; জায়েদ ২/৯০, সাইফ ২/৬৭, খালেদ ৪/৮৪, সোহাগ ১/৮৪, আফিফ ০/২৫, কাপালী ০/৩৫, আশরাফুল ০/৬)।
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৩৩ ওভারে ৯৫/৩ (লিটন ৬০*, আফিফ ১৪, ইমতিয়াজ ৫, আশরাফুল ১২, ইয়াসির ০*; রাব্বি ২/৩৩, দেলোয়ার ০/১৪, সৌম্য ০/১৫, রাজ্জাক ১/২২, নাঈম ০/৭)।
মধ্যাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল, বগুড়া
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ১৭৪.১ ওভারে ৫২৯ (আগের দিন ২৪৯/৩) (মার্শাল ১৩২, মাহমুদউল্লাহ ২৬, শুক্কুর ০, তানবীর ৪৬, মোশাররফ ৮৩*, শরীফ ৭, আবু হায়াদার ৭, এবাদত ১২; ফরহাদ রেজা ১/৬৮, শরিফুল ২/৯৬, তাইজুল ০/১৪৬, আরিফুল ৪/৭৯, সানজামুল ২/১২৭)।
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ১ ওভারে ০/০। *২য় দিন শেষে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।