নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : আগের দিন দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে নিজেদের রেকর্ড ব্যবধানের জয় পেয়েছিল রাজশাহী বিভাগ। একই স্তরের আরেক ম্যাচে গতকাল সিলেট বিভাগকে ৫৬ রানে হারিয়েছে রংপুর বিভাগ। তবে ড্রয়ের ভাগ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে বরিশাল বনাম ঢাকা মেট্রোপলিটন এবং খুলনা বনাম ঢাকা বিভাগের মধ্যকার প্রথম স্তরের ম্যাচ দুটি। শেষ দিনে মার্শাল আয়ুব ও আসিফ আহমেদের অর্ধ শতকে হার বরিশালের বিপক্ষে বিপর্যয় এড়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের মঞ্চটা আগের দিনই গড়ে রেখেছিলেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। ৭৯ রানে ৭ উইকেট হারানো সিলেটর ৬ উইকেটই নিয়েছিলেন রংপুরের এই স্পিনার। গতকাল নিলেন আরো একটি উইকেট। সিলেটও মাত্র ১৫৪ রানের লক্ষে ধসে যায় মাত্র ৯৭ রানে। এর আগে প্রথম ইনিংসে রংপুরের ২১৭ রানের জবাবে ২৪৭ রান করেছিল স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের ১৮৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকমতই করে রেখেছিল সাজেদুল ইসলামের দল। কিন্তু ব্যাটিং ব্যার্থতায় ১৫৪ রানের মামুল লক্ষ্যতেও তারা পৌঁছাতে পারেনি। ১৫ ওভারে ২ মেডেনসহ ৪৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে অলক কাপালির দলকে একাই গুঁড়িয়ে দেন শুভ। ম্যাচ সেরাও হন বাঁ-হাতি এই লেগ স্পিনার।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে বরিশালের ৪১৯ রানে চাপা পড়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন। প্রথম ইনিংসে ২৪৫ রান করায় ফলোঅনে পড়ে মার্শাল আযুবের দল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায়ে ৭ উইকেটে ৩৫৩ রান করে তারা। ইনিংসে কোনো শতক না থাকলেও অর্ধ শতক আছে তিনটিÑ সাদমান ইসলাম ৮৮, আসিফ আহমেদ ৬০ ও অধিনায়ক মার্শাল আয়ুব আউট হন ৭৭ রান করে। ১৯০ থেকে ২১১ এই ২১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছিল বরিশালের বোলাররা। কিন্তু শেষদিকে জাবিদ ও আবু হাইদারের ছোট কিন্তু কার্যকরী দুই ত্রিশোর্ধো ইনিংসে তা আর হয়ে ওঠেনি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা আশরাফুল প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হন মাত্র ২ রান করে। ১০০ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সালেহ আহমেদ শাওন। প্রথম ইনিংনে অনবদ্য ১৪২ রানের সুবাদে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন বরিশালের অল-রাউন্ডার সোহাগ গাজী।
ওদিকে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে খুলনা ও ঢাকা বিভাগের মধ্যকার ম্যাচের ৩ দিনই ভেস্তে দেয় প্রকৃতি। প্রথম দিনের সেই ৫০.৫ ওভারের পর আর একটি বলও মাঠে গড়াইনি সেখানে। তা থেকে ১ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তুলেছিল খুলনা বিভাগ। ১৬২ রানের অপরাজিত জুটিতে ছিলেন আনামুল হক (৮৪*) ও মোসাদ্দেক ইফতেখার (৭১*)।
দ্বিতীয় স্তরের খেলায় ২ ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রাজশাহী বিভাগ। একই ফল নিয়ে ২২ পয়েন্ট তালিকার পরের দল রংপুর। একটি করে ড্র ও হার নিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেটর সংগ্রহ যথাক্রমে ১১ ও ১০ পয়েন্ট। ওদিকে প্রথম স্তরে ২ ম্যাচ শেষে জয়-পরাজয়ের দেখা মেলেনি। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এখানে তালিকার শীর্ষে বরিশাল। ১৪ পয়েন্ট খুলনার। ৯ ও ৬ পয়েন্ট যথাক্রমে ঢাকা মেট্রো ও ঢাকা বিভাগের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল-ঢাকা মেট্রো
বরিশাল : ৪১৯
ঢাকা মেট্রো : ২৪৫ ও ৩৫৩/৭ (শামসুর ৪৪, সাদমান ৮৮, আসিফ ৬০, মার্শাল ৭৭, জাবিদ ৩৬*, হায়দার ৩০*; শাওন ৩/১০০)। ফল : ড্র, ম্যাচ সেরা : সোহাগ গাজী (বরিশাল)।
রংপুর-সিলেট
রংপুর : ২১৭ ও ১৮৩
সিলেট ২৪৭ ও ৯৭ (ইমতিয়াজ ২৬, কাপালি ২৪, নাসুম ১৯*, শুভ ৭/৪৫)।
ফল : রংপুর ৫৬ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : সোহরাওয়ার্দি শুভ (রংপুর)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।