Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গার্দিওলার সিটির বিদায়: এক দশক পর লিভারপুল

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রোমার মত আবিশ্বাস্য প্রত্যবর্তনের কাব্য রচনা করতে পারল না পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। উল্টো ঘরের মাঠেও লিভারপুলের কাছে হেরে চূর হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের স্বপ্ন। এবারের হারটা ২-১ গোলের। দুই লেগ মিলে ৫-১ ব্যবধানে জিতে ১০ বছর পর আসরের শেষ চারে উঠল অল রেডরা।
আসরে টিকে থাকতে হলে ইতিহাদে প্রত্যবর্তনের নজির স্থাপন করতে হতো সিটিকে। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিতে হলেও করতে হতো ৩-০ গোল। এই ব্যবধানেই এক সপ্তাহ আগে আনফিল্ড থেকে হেরে এসেছিল সিটি। ম্যাচ শুরু না হতেই দ্বিতীয় মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোল স্বপ্ন দেখাচ্ছিল আকাশি-নীল ভক্তদের। ইয়ুর্গুন ক্লপের শিষ্যদের কোন সুযোগ না দিয়ে প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় লিভারপুলের অর্ধে বল ধরে রেখে চাপও তৈরি করে তারা। কিন্তু সফরকারীদের জমাট রক্ষণে ভাঙতে পারেনি। ৪১তম মিনিটে সিটির গোল বরাবর প্রথম শট নেয়ার সুযোগ পায় লিভারপুল। পাল্টা আক্রমণে তখনই দ্বিতীয় গোল পেতে পারত সিটি। কিন্তু রেফারির বিতর্কিত অফসাইড সিদ্ধান্তে লেরয় সানের গোলটি বাতিল করা হয়। রেফারির এই সিদ্ধান্তে বাজে প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণে লাল কার্ড দেখে দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময় গ্যালারিতে আশ্রয় নিতে হয় গার্দিওলাকে।
ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে মৌসুমের ৩৯তম গোলের মাধ্যমে সিটির কাজটা ‘অসম্ভব’ করে তোলেন সালাহ। ৭৭তম মিনিটে সিটির আশার প্রদীপ নিভিয়ে দেয় ফিরমিনহোর গোল। সালাহ-ফিরমিনহো দুই জনই চলতি আসরে গোল করলেন ৮টি করে। পুরোটা সময় বলের দখল রেখে বার বার আক্রমণ শানিয়েও লিভারপুলের রক্ষণে চিড় ধরাতে পারেননি সানে-জেসুস-ডি ব্রুইনরা। প্রতিপক্ষের গোল বরাবর শটই নেয়ার সুযোগ পেয়েছে তারা মাত্র তিনবার।
এই নিয়ে চলতি মৌসুমে গার্দিওলাকে তিনবার হারালেন ক্লপ। গার্দিওলাকে সবচেয়ে বেশি (৭ বার) পরাজয় উপহার দেয়া কোচও এখন এই জার্মান। ব্যাপারটা ক্লপের কাছে অবিশ্বাস্যই লাগছে, ‘আমরা ম্যান সিটির বিপক্ষে পাঁচ গোল করেছি, খেয়েছি একটা। এটা সব সময় সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।’
গার্দিওলা দুষছেন রেফারিকে। তার মতে, ‘লেরয় সানের গোলটা বাতিল না হলে ফলটা অন্যরকম হতে পারত।’ রেফারি নিয়ে প্রথম লেগেও আপত্তি তুলেছিলেন কাতালান কোচ, ‘আনফিল্ডে সালাহর গোলটি অফসাইড হলেও ভিন্নভাবে দেখা হয়েছে। সেই আনফিল্ডেই জেসুসের গোলটি অফসাইড ধরা হয়। এই আসরে সব দলই সমান, তাই রেফারির সিদ্ধান্তের প্রভাবটা গুরুত্বপূর্ণ।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ