পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স যথেষ্ট দীর্ঘ হলেও এদেশের জনগণের একান্ত আকাংখার গণতন্ত্র চর্চার রেকর্ড মোটেই আনন্দদায়ক নয়। পাকিস্তান আমলে বেসামরিক ও সামরিক আমলাদের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা-ক্ষুধার কারণে সে আমলে গণতান্ত্রিক আদর্শ কখনও স্থিতিশীল হতে পারেনি। এ কারণে স্বাধীন বাংলাদেশ আন্দোলনের একটা প্রধান লক্ষ্যই ছিল গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল রূপ দেয়া। জনগণের এ আকাংখা বিবেচনায় এনেই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যে চারটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতি নির্ধারিত হয় তার মধ্যে সব চাইতে অধিকগুরুত্ব দেয়া হয় গণতন্ত্রকে। এর প্রমাণ হিসাবে বলা যেতে পারে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্য তিনটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বিভিন্ন সরকারের আমলে পূর্ণ বা আংশিক পরিবর্তন ও সংশোধন করা হলেও জনগণের সমর্থনধন্য গণতন্ত্রের গায়ে আচড় কাটতে সাহস করেনি কোন সরকারই।
গভীর দু:খের বিষয় জনগণের সমর্থনধন্য যে গণতন্ত্রের গায়ে কাগজে কলমে আঁচড় কাটতে সাহস করেনি বাংলাদেশের কোন সরকারই, বাস্তবে সেই গণতন্ত্রকেই অবমূল্যায়ন করা হয়েছে সব চাইতে বেশী। এবং তা শুরু করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আমলেই, যখন দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি মাত্র সরকারী দল রেখে দেশে এক দলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
পরবর্তীকালে কিছু দু:খজনক ঘটনার মধ্যদিয়ে দেশে বহু দলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুন:প্রতিষ্ঠিত হলেও এক পর্যায়ে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বসেন তদানীন্তন সেনা প্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তখন সারা দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে ঐ সামরিক ক্যুর প্রতি সমর্থন জানিয়ে বসেন প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা। মনে হয় এটা সম্ভব হয়েছিল এই বিবেচনায় যে ঐ নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। এর অর্থ হল আওয়ামী লীগ নেত্রীর কাছে নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চাইতে অধিক সমর্থনযোগ্য মনে হয়েছিল সামিরক ক্যুর মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেলের শাসন। বলা বাহুল্য এটা শেখ হাসিনার গণতন্ত্র প্রীতির প্রমাণ বহন করে না।
সংবাদপত্র পাঠকদের স্মরণ থাকার কথা, এর পর শুরু হয় জেনারেল এরশাদের সুদীর্ঘ স্বৈরশাসনের পালা। পাশাপাশি চলতে থাকে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জেনারেল এরশাদ বিরোধী আন্দোলন। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম প্রথম দীর্ঘ দিন এরশাদ বিরোধী এ আন্দোলন থেকে দূরে থাকেন। পরে এক পর্যায়ে তিনি এ আন্দোলনে যোগ দিলেও ততদিন ময়দানে একটানা এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেত্রী হিসাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে অপেক্ষাকৃত নবাগতা হয়েও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী হিসাবে খ্যাতিলাভ করে ফেলেছেন। এর প্রমাণ মেলে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুন:প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এরশাদ আমলের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে।
এ নির্বাচন যাতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সে লক্ষ্যে দেশের দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে একমত হন। যেমনটা আশা করা গিয়েছিল নির্বাচন খুব সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাকালে এক পর্যায়ে বলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, ভোটে হেরে গিয়ে এর মধ্য কেউ যেন আবার ‘কারচুপি’ আবিষ্কার না করে।
শেখ হাসিনার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল দেশের প্রাচীনতম ও সবচাইতে সুসংগঠিত দল হিসাবে আওয়ামী লীগই নির্বাচনে জয়ী হবে। কিন্তু ভোট গণনা শেষে যখন জানা গেল, নির্বাচনে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি, তিনি বলে বসলেন নির্বাচনে সুক্ষ্ণ কারচুপি হয়েছে। তবে দেশের লোক তাঁর এ বক্তব্যে কোন গুরুত্ব দেয়নি। ফলে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াই এরশাদ-পরবর্তী আমলের প্রথম প্রধান মন্ত্রী হিসাবে সরকার গঠন করলেন, আর শেখ হাসিনা হলেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী। বেগম খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্ত¡ মেয়াদ শেষে নতুন নির্বাচনের প্রশ্ন উঠলে প্রধানত : শেখ হাসিনার দাবীর মুখেই দেশের সব জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে এই বিধানসহ দেশের সংবিধান-সংশোধিত হলো।
পরবর্তীকালে বাস্তবে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থাই গণতন্ত্রের নিরিখে সর্বাপেক্ষা উপযোগী। কারণ এরপর বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন এই বিধান মোতাবেক অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল পালাক্রমে নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করেন। দু:খের বিষয় কোন কোন রাজনৈতিক দলের অতিরিক্ত ক্ষমতা-ক্ষুধার কারণে এমন একটি সুন্দর ব্যবস্থাকেও পচিয়ে ফেলা হয়।
ফলে দেশের প্রধান দুই দলের মধ্যে ক্ষমতার দ্ব›দ্ব অপ্রতিরোধ্য হয়ে দাঁড়ায়। দুই প্রধান দলের এই দু:খজনক দ্বন্দে¦র সুযোগে সেনা বাহিনী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করে এবং সেনা সমর্থিত সরকারের নামে সেনা নিয়ন্ত্রিত এক অদ্ভুত সরকার প্রতিষ্ঠা করে। শুধু তাই নয় তারা দেশের দুই প্রধান নেত্রীকে জাতীয় সংসদ এলাকার দুটি ভবনে গৃহবন্দী করে রেখে দুই প্রধান দলের মধ্যে বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে তোলার ও চেষ্টা চালায়। দুই প্রধান দলের উচ্চ ও মাঝারি পর্যায়ের কিছু নেতা তাদের এ প্রচেষ্টার সঙ্গে সহযোগিতা করলেও সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তৃণমূল পর্যায়ের বিশাল নেতাকর্মী বাহিনীর প্রবল বিরোধিতার মুখে এ ষড়যন্ত্র ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
এসময়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এ মর্মে এক বক্তব্য দেন যে, তিনি যদি ক্ষমতার যান, তা হলে সেনা বাহিনীকর্তৃক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল সংক্রান্ত সকল অবৈধ কাজের বৈধতা দান করবেন। এরপর দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি সহজেই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। পরবর্তীকালে তাঁর সরকারের আমলে সংবিধান পুনরায় সংশোধিত হয় এবং সংশোধিত সংবিধান মোতাবেক নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে দলীয় সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের বিধি পুন:প্রবর্তিত হয়। শেখ হাসিনার সরকার সংবিধান সংশোধনের আলাকে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। বিএনপি আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে অতীত সমঝোতা লংঘনের অভিযোগে এই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়।
দেশের প্রধান দুই দলের একটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিলে বাস্তবে যে নির্বাচন হয়ে পড়ে নির্বাচনী প্রহসন। বিরোধী দল তো দূরের কথা সরকারী দলের অনেক নেতা-কর্মীও সেদিন ভোটকেন্দ্রে যাবার গরজ অনুভব করেননি। কারণ তারা জানতেন তারা না গেলেও তাদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা ঠিকই করা হবে দলের পক্ষ থেকে। বাস্তবে হয়ও সেটাই। বিরোধী দলের অনুপস্থিতির সুবাদে শাসক দলের অল্প সংখ্যক নেতাকর্মী সরকারী দলের প্রার্থীদের ব্যালটপত্রে ইচ্ছামত সীলমেরে তাদের পক্ষে প্রদত্ত ভোট সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেখানোর সুযোগ গ্রহণ করেন। অথচ ভোট গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ছিল প্রায় ফাঁকা। পরবর্তী দিন এই ভোট গ্রহণের সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলে প্রকৃত তথ্য জানার সুযোগ লাভ করেন জনগণ। ভোট গ্রহণের নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ছিল প্রায় শূণ্য ফাঁকা, যদিও কাগজে কলমে লক্ষ লক্ষ ভোট প্রদান অংশগ্রহণ করেন বলে দাবী করা হয়। এ কারণে জনগণ ৫ জানুয়ারীর এ নির্বাচনের নাম দেন ভোটারবিহীন নির্বাচন। বর্তমানে বাংলাদেশ শাসন করছে যে সরকার, সে সরকার এই ভোটারবিহীন নির্বাচনেরই ফসল। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে এই সরকারের যিনি প্রধান, তিনি জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন একটি সরকার চালালেও এ ব্যাপারে কোন লজ্জাবোধ করেন না তিনি। বরং জাতীয় সংসদের তিনি এই বলে আনন্দ প্রকাশ করেছেন যে, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় এক হিসাবে ভালই হয়েছে। সংসদে তাদের খিস্তি-খেউর শুনতে হচ্ছে না। সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যকে যিনি খিস্তি-খেউর বলে মনে করেন তিনি আর যাই হোক, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন বা এ বিষয়ে জনগণ নি:সন্দেহ।
দশম সংসদের এ দূরবস্থার আলোকে আমাদের জনগণ কামনা করেন একাদশ সংসদ নির্বাচন যেন এ ধরনের গ্লানি থেকে মুক্ত থাকে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ যাতে সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রের মর্মবাণীর আলোকে গঠিত ও পরিচালিত হতে পারে। একাদশ জাতীয় সংসদ যাতে গণতন্ত্রের মর্মবাণীর আলোকে নির্বাচিত হতে পারে সে ব্যাপারে সর্বাধিক দায়িত্বটা কার? অবশ্যই প্রধান নির্বাচন কমিশনার তথা সিইসি সাহেবের। ভোটারদের ভোট নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে যদি সিইসি মনে করেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিৎ এ কথা বলে তিনি কি কোন অন্যায় করে ফেলেছেন? অথচ সিইসি একথা বলার পরে শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব ও বায়দুল কাদের তার সমালোচনা করে সিইসি সাহেবের এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।
ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কি চান যেন তেন প্রকারে একটা নির্বাচনী মহড়া দিয়ে তারা পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোন? যদি সেটাই তাদের লক্ষ্য হয় তবে তা তারা করতে পারেন। তবে সেটা গণতন্ত্র হবে না। হবে গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করে দেশে আওয়ামী লীগের রাজত্ব কায়েম করা ও চালিয়ে যাওয়া। প্রকৃত গণতন্ত্রে বিরোধী দলের সর্বপ্রকার অধিকার স্বীকৃতি অপরিহার্য। হামলা-মামলা প্রভৃতির মাধ্যমে বিরোধী দলকে দাবিয়ে রেখে আর যাই হোক দেশে গণতন্ত্র চর্চা বা এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ যদি সত্যি-সত্যি গণতন্ত্রের বিশ্বাসী হয়ে থাকে তা হলে তার উচিৎ হবে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের স্বাধীনভাবে কাজ করে যাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা। বিরোধী দলকে কাজ করার সুযোগ দেব না, কথা বলার সুযোগ দেব না- এর নাম আর যাই হোক, গণতন্ত্র নয়।
প্রকৃত গণতন্ত্রে যদি আওয়ামী লীগের বিশ্বাস থাকে, তাহলে তাদের উচিৎ হবে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের উপর থেকে সকল প্রকার বিধিনিষেধ তুলে নেয়া এবং তাদের কর্মকান্ডে কোন বাধা না দেয়া। তাতে সুষ্ঠু নির্বাচনে যদি বিএনপি বিজয়ী হয় এবং আওয়ামী লীগ যদি পরাজিতও হয়, তা হলে পরবর্তীতে তারা জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তারা যদি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সিন্ধবাদের দৈত্যের মত জনগণের ঘাড়ে চেপে থেকে চোখ রাঙ্গিয়ে তাদের ভোট ছিনতাই করে নির্বাচনী মহড়ার মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেন তবে সেস্বপ্ন তাদের জন্য দু:স্বপ্নে পরিণত হওয়ার আশঙ্কায়ই অধিক। সুতরাং সাধু সাবধান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।