Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কঠোর সমালোচনা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন, বেআইনি অথবা খেয়ালখুশিমতো হত্যাকা্ন্ড, জোরপূর্বক গুম, মিডিয়ায় সেন্সরশিপ, সাইট ব্লক করে দেয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২০ সালের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত মানবাধিকার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন সমালোচনার তীর ছোড়া হয়েছে।
এতে তুলে ধরা হয়েছে কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ খান সিনহার কথা। ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের প্রসঙ্গ। সমালোচনা করা হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে। সমালোচনা করা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকার অথবা তার এজেন্টরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড চালায়, জোরপূর্বক গুম করে বাংলাদেশে। নির্যাতন চালানো হয় এবং নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়। অমানবিক অথবা অপমানজনক আচরণ করে অথবা শাস্তি দেয় সরকার বা তার এজেন্টরা।
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, জেলখানার পরিবেশ আরো খারাপ, জেলের ভিতরে জীবন হারানোর হুমকি রয়েছে। খেয়ালখুশিমতো অথবা বেআইনিভাবে আটকে রাখার ঘটনা অব্যাহত আছে। ব্যক্তিগত বিষয়ে খেয়ালখুশিমতো অথবা বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি সহিংসতা, সহিংসতার হুমকি ও খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার করা হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং মুক্তভাবে মত প্রকাশের অখিকারে উল্লেখযোগ্যভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়। বেসরকারি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিধিনিষেধমূলক আইন রয়েছে। তাদের কর্মকান্ডের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। মুক্তভাবে চলাচলের ওপরও বিধিনিষেধ রয়েছে। বিধিনিষেধ রয়েছে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের ওপর।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, দুর্নীতি অব্যাহত আছে। নারী ও কন্যা শিশুদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল সহিংসতা অব্যাহত আছে। তদন্ত ও জবাবদিহিতায় ঘাটতি রয়েছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হুমকি ও সহিংসতা হয়। নিরপেক্ষ ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিক অধিকারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ আছে। আরো আছে শিশু শ্রমের খুব খারাপ অবস্থা। রিপোর্ট আরো বলা হয়, সংবিধান অনুসারে বাংলাদেশে রয়েছে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা। এর অধীনে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা থাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। ২০১৮ সালে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তাতে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বার ৫ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ধরে রেখেছেন। কিন্তু ওই নির্বাচনকে পর্যবেক্ষকরা অবাধ ও সুষ্ঠু বলে মনে করেন না। অনিয়ম, যেমন ব্যালট বাক্স ভরাট করা এবং বিরোধী দলীয় পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়, নিরাপত্তা রক্ষায় সমন্বিতভাবে কাজ করে পুলিশ বর্ডার গার্ডস, সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিট, যেমন র‌্যাব। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে বেসামরিক কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে বহু নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ক্ষমা করে দেয়া হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্যভাবে সীমাবদ্ধ। অনেক সাংবাদিক সরকারের হয়রানি ও প্রতিশোধ নেয়ার ভয়ে সমালোচনামূলক লেখা নিজেরাই সেন্সর করেন। সাইবার ক্রাইম কমিয়ে আনতে ২০১৮ সালে পাস করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এর অধীনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত অথবা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো রকম প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দেয়ার শাস্তি ১০ বছরের জেল পর্যন্ত রাখা হয়েছে। করোনা মহামারিকালে, সরকারের গৃহীত কর্মকান্ডের বিষয়ে প্রশ্ন তোলায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করেছে সরকার। এ ছাড়া মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আরো বিধিনিষেধ ইস্যু করেছে সরকার। ২০২০ সালের ১৬ই এপ্রিল ডিপার্টমেন্টম অব নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলায় নার্সদেরকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দেশে এবং বিদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরকার, সরকারি প্রতিনিধি, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর এবং প্ররোচনামূলক বিবৃতি দেয়াকে বিধিনিষেধ দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৩ই অক্টোবর। ৩রা মে পর্যন্ত এক সপ্তাহে মিডিয়া আউটলেট রিপোর্ট করে যে, কমপক্ষে ১৯ জন সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, অন্যান্য নাগরিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে মানহানি, গুজব ছড়ানো এবং সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রিন্ট এবং অনলাইন নিরপেক্ষ মিডিয়া বছরজুড়েই ছিল সক্রিয় এবং তারা বিভিন্ন রকম দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে। কিন্তু সরকারের সমালোচনাকারী মিডিয়াগুলো ছিল চাপে। দেশে সরকারি টেলিভিশন স্টেশনে সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ ছিল সরকারের। এ ছাড়া বিনামূল্যে সরকারি কণ্টেন্ট বেসরকারি চ্যানেলগুলো প্রচার করেছে। লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো। টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের। সাংবাদিকদের শারীরিক হামলা, হয়রান এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র সংগঠন। এই আইনকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন মানবাধিকারের কর্মীরা। সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদকীয় পরিষদ এই আইনকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ বলে অভিহিত করেছে।



 

Show all comments
  • Jamal Hossain Mizi ১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 16
    বাংলাদেশের সাংবাদিকরা এখন সত্য এবং নিষ্ঠা খবর প্রচার করতে পারে না শুধুমাত্র সরকারের মামলা-হামলার ভয় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য
    Total Reply(0) Reply
  • Md Joy ১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 0
    এটা বরাবর'ই হয়ে আসছিলো। তবে গঠনতত্ত্বিক বা গঠণ মূলক,গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কিছু নিতিমালা প্রণয়ন করা হোক। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে দেশ বিরোধি, ধর্ম বিরোধি ও ধর্মিয় অবমাননা করার যেনো কোন সুযোগ কেউ নিতে না পারে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নিতিমালা প্রয়োজন। অনাধিকার চর্চা ও অতিরন্জিতো কিছু করতে যেনো কেউ না পারে,এদিকটা নজর দেওয়া জরুরি।
    Total Reply(0) Reply
  • জনতাকে জানাই ১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 31
    এ-ই কথা আমাদের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কখনোই মেনে নিবেনা। এইটা বিএনপি জামাতের কাজ। তাঁরাই টাকা খরচ করে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Farid Farid ১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 17
    এরশাদের ৯ বছরের সামরিক শাসননেও এর চেয়ে অনেক ভালো বাকস্বাধীনতা ছিল
    Total Reply(0) Reply
  • Sana Ullah ১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 18
    এটি তো নতুন কিছু নয় ক্ষমতাসীনেরা তো বর্তমানে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে মানুষের শরীরের জোর আর ক্ষমতার বড়াই বেশিদিন থাকে না
    Total Reply(0) Reply
  • Krittiman Manab ১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৪ এএম says : 12
    সরকার, হেফাজত উভয়ের কারনে ও প্রভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিনষ্ট হচ্ছে। স্বচ্ছতার অভাব প্রকট। ডিজিটাল আইনের কারনে মানুষের মতপ্রকাশ স্বাভাবিকতা আজ রুদ্ধ। গুজবের ছড়াছড়ি তে প্রাণ পর্যন্ত যাচ্ছে মানুষের।
    Total Reply(0) Reply
  • Arshad Hasan ১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৪ এএম says : 17
    100 /ভাগ সত্য বাংলাদেশে স্বাধীনতা বলে কিছু নেই আছে শুধু জয় বাংলা
    Total Reply(0) Reply
  • Priotush Debnath ১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৪ এএম says : 8
    মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট ভীতি হীন । মার্কিন ভিজিটার আইনের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হক । কিভাবে কৃষ্ণঙ্গ লোক মানুষ দের উপর পুলিশ গুলি করছে। যদি ও ডিজিটাল এই আইনটি তে কিছু সমস্যা আছে। এতো কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি
    Total Reply(1) Reply
    • আব্দুল্লাহ ১ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩৫ এএম says : 0
      জী না। তারা কত জনকে হত্যা করেছিল এবং অতপর কেমন বিক্ষোভ হয়েছিল। অতপর কতজনকে গুলি করা হয়েছিল!!!!!
  • md sabbir rahman ১ এপ্রিল, ২০২১, ২:১০ এএম says : 14
    স্বাধীনতার কোন ছিটেফোঁটাও নেই এখানে নির্বাচনের কোনো গন্ধ ও নেই,
    Total Reply(0) Reply
  • md sabbir rahman ১ এপ্রিল, ২০২১, ২:১২ এএম says : 14
    নির্বাচন ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই বাংলাদেশে আর পুলিশ বাহিনী .... বাহীনিতে পরিনত হয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • হুমায়ুন ফারাহ ১ এপ্রিল, ২০২১, ৩:০৬ এএম says : 14
    এ লুটেরা সরকার দেশ ও জাতির দুসমন।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ দুলাল মিয়া ১ এপ্রিল, ২০২১, ৬:১২ এএম says : 0
    2013সালে আমি বলেছিলাম সংসদীয় পদ্ধতি বাংলাদেশে এক নায়ক শাসন জরুরি সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করা হউক। আমাদের দেশে সংসদীয় পদ্ধতি থাকলে যে ক্ষমতায় আসবে তারাই সব কিছু দলীয় করে নিবে ।কিছুই পরিবর্তন হবে না।তাই সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করা হউক এবং প্রেসিডেন্টসিল পদ্ধতি করা হউক। পতি পাঁচ বসর পর নিরপক্ষে নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে।তাহারা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে নির্বাচনে যে ক্ষমতায় আসবে তাদের হাতে ক্ষমতা দেয়া হবে।তাই যদি না হয় বাংলাদেশে শান্তি আসবে না।জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে এবং কি আপনারা দেখতেছেন সত্য মিথ্যা। ...........................................আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতউললা ওবারাকাতু।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ দুলাল মিয়া ১ এপ্রিল, ২০২১, ৬:২৯ এএম says : 13
    ............................................. মানবতা নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • ফিরদাউস হাসান ১ এপ্রিল, ২০২১, ৩:০৪ পিএম says : 0
    হ্যাঁ এই পরিস্থিতিতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন! আমাদের জানের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়েছে। সরকার যদি জনগণের কল্যাণ এর চিন্তা করত তাহলে জনগণের হৃদয়ের কথা শোনার চেষ্টা করত।
    Total Reply(0) Reply
  • নয়ন ১ এপ্রিল, ২০২১, ৪:৩৫ পিএম says : 0
    এখানে কিছু লিখতেও মানুষ ভয় পায় যদি তা লীগের মন মত না হয় তাহলে লীগ কিংবা প্রশাসন থেকে তার উপর আঘাত আসতে পারে যে কোন সময়।
    Total Reply(0) Reply
  • Alamgir ১ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৫৮ পিএম says : 0
    সবই সঠিক।কিন্তু এসব মানবাধিকার রিপোর্ট করে কি কোন লাভ হইছে আদো। দিনদিন সরকার আরো বেপরোয়া হয়ে যাচ্চে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ