পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী পলাতক ও শত্রুভাবাপন্ন উপাদানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান একমত হয়েছে। ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র দফতর রোববার এ কথা জানায়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসির কাবুল সফরকালে দুই পক্ষ ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তান এ্যাকশন প্লান ফর পিস এন সলিডারিটি’ (আপাপস)-এর আওতায় কার্যকরি গ্রুপগুলোকে অপারেশনালাইজ করতে সম্মত হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, আফগান-নেতৃত্বাধিন ও আফগান-নিয়ন্ত্রিত শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিতে পাকিস্তান প্রতিশ্রতিবদ্ধ। এই দুই দেশ তাদের যেকোন এক দেশের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে এমন পলাতক ও শত্রুভাবাপন্ন উপাদানগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আপাপস অনুযায়ী, যেকোন দেশের বিরুদ্ধে কোন দেশ, নেটওয়ার্ক, গ্রুপ বা ব্যক্তিকে তাদের নিজ নিজ ভূখন্ড ব্যবহার করতে দিতে দেবে না পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। সম্মত কার্যক্রমগুলো বাস্তব রূপ দিতে লিঁয়াজো অফিসের মাধ্যমে একটি যৌথ সুপারভিশন, কোঅর্ডিনেশন ও কনফরর্মেশন মেকানিজম তৈরির ব্যাপারে দেশগুলো একমত হয়। দুই দেশ পরস্পরের ভূখন্ড ও আকাশ সীমা লঙ্ঘন এড়িয়ে চলতে সম্মত হয়।
পরস্পরের বিরোধপূর্ণ ও উদ্বেগের বিষয়গুলোতে সাড়া দিতে দুই দেশ প্রকাশ্যে দোষারোপের খেলা বন্ধ করে আপাপস সহযোগিতা মেকানিজম ব্যবহারে রাজি হয়। আপাপস’র পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য ওয়ার্কিং গ্রুপ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা মেকানিজম তৈরি করবে দুই দেশ।
গত ফেব্রুয়ারিতে আপাপসের ব্যাপারে দুই দেশ সম্মত হয় এবং চুক্তিটি অপারেশনালাইজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে দুই দেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কিছু বৈঠক হয়েছে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।