নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম আউট হলেন দিনের খেলা তখনও ৩২ ওভার বাকি। বাকি তিন উইকেট তুলে নিতে পারলেই জয়। কিন্তু পারলেন না ইংল্যান্ড বোলাররা। ইশ সোদি আর নেইল ওয়াগনারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পরাজয়কে পাশ কাটিয়ে জয়ের সমান ড্র করেছে নিউজিল্যান্ড।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতেছিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ফলে সিরিজও ১-০ ব্যবধানে জিতে নিলো কিউইরা। দীর্ঘ ১৯ বছর পর ইংলিশদের বিপক্ষে কিউইদের এই সিরিজ জয়, আর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমের পর। ইংলিশরাও প্রতিপক্ষের মাঠে জয়হীন থাকল টানা ১৩ ম্যাচ।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংলিশদের দরকার ছিল ১০ উইকেট, নিউজিল্যান্ডের ৩৪০ রান। শেষ দিনের ভগ্ন উইকেটের কথা বিবেচনা করে ম্যাচের পাল্লাটা সফরকারীদের দিকেই ঝুঁকে ছিল। ব্রড-উড-লিচদের দলীয় প্রচেষ্টায় জয়ের পথেও ছিল তারা। দিনের প্রথম দুই বলেই জিত রাভাল ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে টানা আউট করে সম্ভাবনাটা আরো উজ্জ্বল করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। এরপর নিয়মিত বিরতিতে বিদায় নেন টেইলর, নিকোলস, ওয়াটলিংও। একপ্রান্ত আগলে ছিলেন ওপেনার টম লাথাম। তিনিও ফেরেন দলীয় ১৬২ রানে। চা বিরতির আগে তার ২০৭ বলে ৮৩ রানের ইনিংসটিই ছিল কিউই ইনিংসের প্রাণ।
এরপরই গ্র্যান্ডহোমের সঙ্গে যোগ দেন সোদি। চা বিরতির আগে পরে ভালোই চালিয়ে যচ্ছিলেন তারা, গড়েন ৫৭ রানের জুটি। তার চেয়েও বড় হিসাব ২৫.৫ ওভার কাটিয়ে দিতে পারা। গ্র্যান্ডহোমকে (৯৭ বলে ৪৫) ফিরিয়ে আবারো ইংলিশদের জয়ের আশা উজ্জ্বল করেন উড। কিন্তু কে জানত এর চেয়েও বড় বাধা অপেক্ষা করছে সামনে। মাটি কামড়ে টানা ৩১.২ ওভার ক্রিজে থাকলেন সোদি ও ওয়াগনার। এসময় রান আসে মাত্র ৩৭। আগের দিনের মত অন্ধকার আলোর জন্যে যে এদিন কিউইরা অপেক্ষা করেনি তা নয়। কিন্তু আকাশ কাল ছিল পরিষ্কার। যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই তাই জয়ের সমান ড্র করতে হয়েছে বø্যাক ক্যাপ বাহিনীকে।
১৬৮ বলের মোকাবেলায় ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন সোদি। ওয়াগনার ছিলেন আরো সতর্ক। নয় নম্বর ব্যাটসম্যান ১০৩ বলের মোকাবেলায় করেন মাত্র ৭ রান। যার মধ্যে একটি বাউন্ডারিও ছিল। অনিয়মিত বোলার জো রুটের বলে যখন ওয়াগনার সিলি পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আসেন দিনের খেলা তখন বাকি মাত্র দুই বল। ওখানেই ম্যাচের সমাপ্তি মেনে নেন দুই দলপতি।
অলরাউন্ডার নৈপুন্যের কারণে ম্যাচসেরা হন টিম সাউদি। সিরিজজুড়ে দুর্দান্ত বল করা ট্রেন্ট বোল্ট হন সিরিজ সেরা।
স ং ক্ষি প্ত স্কো র
ইংল্যান্ড : ৩০৭ ও ৩৫২/৯ ডিক্লে.
নিউজিল্যান্ড : ২৭৮ ও (লক্ষ্য ৩৮২) ১২৪.৪ ওভারে ২৫৬/৮ (লাথাম ৮৩, রাভাল ১৭, উইলিয়ামসন ০, টেইলর ১৩, নিকোলস ১৩, ওয়াটলিং ১৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ৪৫, সোধি ৫৬*, ওয়াগনার ৭; অ্যান্ডারসন ১/৩৭, ব্রড ২/৭২, উড ২/৪৫, লিচ ২/৬১, রুট ১/২৮, স্টোকস ০/২, মালান ০/৯)। ফল : ড্র। সিরিজ : ২ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড)।
সিরিজ সেরা : ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।