Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দুদকের অনুসন্ধান শীর্ষ নেতাদের দুর্বল করার প্রয়াস -বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৬:২১ পিএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের দুর্বল করার প্রয়াস বলে দাবি করছেন দলটির নেতারা। বিএনপির আট নেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শত কোটি টাকার বেশি লেনদেনের বিষয়টিকে ‘মনগড়া ও বানোয়াট’ বলে অভিহিত করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

দলটির শীর্ষ পর্যায়ের আট নেতার বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাবে ১২৫ কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেনের একটি অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই নেতারা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম মোর্শেদ খান, যুগ্মমহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল।

দুদকের তদন্তে নামার বিষয়টির সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে অপপ্রচার করে বিএনপির নেতৃত্ব দুর্বল করা যাবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।’

অর্থ লেনদেনের খবরকে ‘বানোয়াট গল্প’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপির অন্যতম এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘বানোয়াট ও মনগড়া এই ধরনের খবরে দুদকের অনুসন্ধানের ঘোষণার এই প্রয়াসকে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। এই প্রয়াসের চেষ্টাকে আমরা মনে করি, শীর্ষ নেতাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। এজন্য মিথ্যা রিপোর্টটি দুদক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এর আগে পত্র-পত্রিকায় আমাদের নেত্রী সম্পর্কে বানোয়াট কিছু কথা বের হয়েছিল যে, দুবাইতে বেগম খালেদা জিয়ার নামে শপিংমল আছে, বিভিন্ন জায়গায় টাকা আছে, এমনকি আমার নামও উঠেছিল সিঙ্গাপুরের একটি ফাইভ স্টার হোটেলের আমি নাকি শেয়ার হোল্ডার। সেদিন আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া। বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে আমাদের সবার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই সরকারের একটা নীল নকশার অংশ হিসেবে অপপ্রচার। সেটা প্রমাণিত হয়েছে।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অর্থ লেনদেনের খবর যদি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট হয়ে থাকে, তাহলে দুদকের কাছে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট প্রথম যাওয়ার কথা ছিল। বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার মালিক কে? কারা এটা পরিচালনা করছে? দুদকের কাউন্টার পার্ট কি বাংলা ইনসাইডার কি না? তাহলে তাদের কাছে গেল কীভাবে?’

সরকার দুদককে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, দুদককে আজকে সরকার ব্যবহার করছে। একটি অনলাইন পত্রিকাও যদি এভাবে ব্যবহার করে তাদের রিপোর্ট গ্রহণ করে যদি ফলাও করে প্রকাশ করে তা দুঃখজনক।’

 

সরকারের দুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেন, ‘অপপ্রচার করে বিএনপিকে দুর্বল করা যাবে না। আমাদের নেতৃত্বকে দুর্বল করতে পারবেন না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আমাদের ৮ জনের নামে বানোয়াট কথা উঠবে আর আমরা ঘরে বসে যাবো, আপনারা এটা আশা করবেন না।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটা নোংরা রসিকতা। দুদক মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেছে। তারা স্বাধীন বলে দাবি করে আসলে পরাধীন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এসব অভিযোগ একদলীয় শাসন কায়েমের অংশ। আসলে সরকার আর্থিক খাত ধ্বংস করে টাকা লুট করেছে। দুর্নীতি আজকে একদলীয় হয়ে গেছে। ২৫টি পোর্টাল খুলেছে আওয়ামী লীগ একদলীয় প্রচারণার জন্য। তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে শুধু ক্ষমতা দখলের জন্য।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন-ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ।



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৯:১৯ পিএম says : 0
    জনগন বলছেন, “ এখনতো চৈত্রমাস, তাই চৈত্রি হাওয়ার দোলা লাগলে যা হয় ??? “
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ