পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া নিয়ে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে দেশটির সরকার। আগামীকাল বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে স্বাগত জানাবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তিন প্রেসিডেন্ট সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি বর্ধিত করাসহ আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলবেন। মঙ্গলবার এই নিয়ে তিনি দেশের কর্মকর্তারা বেঠক করবে যা সম্মেলনের পর এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রকাশ করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের জারিকৃত ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতি বাড়ানো নিয়ে কথা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুত কাভোসগলু, সের্গেই লাভরোভ ও জাভেদ জারিফও সিরিয়ার সহিংসতা নিয়ে কথা বলতে পারেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কথা রয়েছে নেতাদের।
এর আগে গত বছরই যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় শান্তিচুক্তি কার্যকরে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয় তিন দেশ। এই নিয়ে ডিসেম্বরে এক বৈঠকে বসেছিলেন তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে বিবৃতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ঘোষিত ২২৫৪ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী সিরিয়া সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানোর ওপর জোর দেয়া হয়। তিন দেশই আগামীতে সিরিয়া সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের মধ্যকার আলোচনা ও সমঝোতা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। একইসঙ্গে ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গি সংগঠন জাবাথ ফাতাহ আল-শাম (আল-নুসরা ফ্রন্ট)-এর বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
ওই ঘোষণায় সিরিয়ার জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সীমান্তে নিরাপত্তার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা হয়। ঘোষণাপত্র অনুসারে, সিরিয়া সঙ্কট নিরসনে কাজে লাগতে পারে এমন যে কোনও দেশকে একই কাজে আহ্বান জানাতে পারবে তারা। সূত্র : আনাদোলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।