বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটের কচুয়ায় ভ্যান যোগে বাড়ি ফেরার পথে শাহীন শেখ (২২) নামে এক কৃষক নেতাকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত ৯টার দিকে কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের সম্মানকাঠি গ্রামের কেজি স্কুলের সামনে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কী কারণে শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
নিহত শাহীন শেখ মঘিয়া ইউনিয়নের সহবতকাঠি গ্রামের আব্দুল গফফার শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ও কচুয়া উপজেলা তরমুজ চাষি সমিতির সভাপতি ছিলেন।
নিহতের চাচা আব্দুল হালিম শেখ বলেন, আমার ভাতিজা শাহীন শেখ পেশায় একজন কৃষক ও কচুয়া উপজেলা তরমুজ চাষি সমিতির সভাপতি ছিলেন। সে শনিবার রাত আটটার দিকে স্থানীয় বড় আন্ধারমানিক গ্রামের পঙ্গু মার্কেটে কাজ সেরে তার জমির দিনমজুর সাখাওয়াতকে সঙ্গে নিয়ে ফিরোজ শেখের ভ্যানরিক্সায় চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সম্মানকাঠি গ্রামের কেজি স্কুলের সামনে পৌছলে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা শাহীনের ভ্যানের গতিরোধ করে তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করলে ভ্যানচালক ফিরোজ ও তার জমির দিনমজুর সাখাওয়াত ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। নিহত শাহিন কচুয়া উপজেলা তরমুজ চাষি সমিতির সভাপতি ছিলেন। সভাপতি হওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজনের তার সাথে বিরোধ হয়। সেই বিারোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড কিনা তা তদন্ত করে দেখতে পুলিশের কাছে দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মুশফিকার শামস্ মেনন বলেন, রাত দশটার দিকে শাহীন শেখকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। শাহীনের দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার শরীরের মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ধারালো অস্ত্রের কোপেরও চিহ্ন রয়েছে
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল কবির বলেন, পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কৃষক নেতা শাহীন শেখকে কারা কী কারণে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।