Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের ব্যাপারে রণকৌশল বদল মোদির আমেরিকার শক্তিতে আর তিক্ততা বৃদ্ধি নয়

ভারত ওবর মানবে সিপিইসি নয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চিন-বিরোধিতার প্রশ্নে অবস্থান পরিবর্তন করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সার্বিক ভাবে চিনের মহাযোগাযোগ প্রকল্প ‘ওবর’-এর সমালোচনা ও বিরোধিতা করা হবে না। শুধু প্রস্তাবিত চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি), যা ওবর-এরই অন্তর্গত, প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্বর চড়ানো হবে। খবর আনন্দ বাজার পত্রিকা।
ক‚টনীতিকদের মতে, দোকলাম পরবর্তী পর্বে ভারত যে বেইজিং সম্পর্কে রণকৌশল বদল করে নরম মনোভাব নিতে বাধ্য হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত তারই ইঙ্গিতবাহী। সাউথ বøকের ঘোষিত সিদ্ধান্ত, চিনের সঙ্গে সম্পর্কের তার নতুন করে বাঁধতে হবে। মতবিরোধ সরিয়ে রেখে সীমান্ত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিভিন্ন উন্নয়নম‚লক প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। চিনের সঙ্গে যুদ্ধং দেহি মনোভাব নিলে তার পরিণতি কী হয়, সেটা দোকলাম পর্বে টের পেয়েছে সাউথ বøক। পাকিস্তানসহ প্রায় সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের যখন ক্রমাবনতি ঘটছে, তখন আমেরিকার বলে বলীয়ান হয়ে বেইজিং-এর সঙ্গে তিক্ততা বাড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তাই একের পর এক ভারতীয় শীর্ষ কর্তা এবং মন্ত্রীকে পাঠানো হচ্ছে বেইজিং-এ। জুন মাসে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে সে দেশে যাচ্ছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সেখানে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে নতুন পথচলা শুরু করতে চাইছেন মোদি। চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষের ক্ষেত্রগুলিকে লঘু করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। সেই লক্ষ্যে স¤প্রতি ভারত বেইজিং-কে জানিয়েছে যে, অশান্ত মালদ্বীপে তারা নাক গলাতে চায় না।
ক‚টনৈতিক স‚ত্রের মতে, দিল্লির লক্ষ্য, ভারত-চিন দ্ব›েদ্বর কারণে ইসলামাবাদ যেন বেইজিং-এর কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা না পায়। তাতে বিপদ দ্বিগুণ হবে। এমনিতেই গত এক বছরে বাড়তি ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে চিন-পাকিস্তানের মধ্যে। এত দিন ধরে ভারত ওবর প্রসঙ্গে বলে এসেছে, বিভিন্ন মহাদেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগের ভিত হওয়া উচিত স্বীকৃত আন্তর্জাতিক আইন, সুশাসন, স্বচ্ছতা, এবং সাম্য। ওবর প্রকল্পে চিন এর কোনওটাই মানেনি। পরিবেশহানির অভিযোগও রয়েছে। স‚ত্রের খবর, এই সব সমালোচনা বন্ধ করা হবে। ইতিমধ্যেই এশিয়ার বিভিন্ন উন্নয়নম‚লক প্রকল্পে (এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক-এর অধীনে) চিনের সঙ্গে সহযোগিতা শুরু করেছে ভারত। স‚ত্রের বক্তব্য, দিবারাত্র ওবরকে নিন্দা করলে শুধু চিন নয়, এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আরও অন্তত ৫০টি দেশেরও গায়ে লাগবে। একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক মঞ্চের বিরাগভাজন হওয়া কাজের কথা নয় বলেই মনে করছে কেন্দ্র।
তবে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে চিনের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকগুলিতে সরব হবে ভারত। বলা হবে, এই করিডর ভারতের অখÐতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিপদজনক। কারণ, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাবে এই অর্থনৈতিক করিডোর।

 



 

Show all comments
  • rakib ১ এপ্রিল, ২০১৮, ৮:৪৫ এএম says : 0
    INDIA SHOULD BE GOOD BOY !! STOP INTERFAIR OTHER COUNTRIES !! OR INDIA WILL BE 100 PIECES, WITHEN NEXT 10YERS
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:৪২ পিএম says : 0
    I hope India is turning at right direction & they will stop also interfacing Bangladesh internal politics or internal matters,
    Total Reply(0) Reply
  • তামিম ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৪৯ পিএম says : 0
    আস্তে আস্তে শুভ বুদ্ধির উদয় হচ্ছে ...................
    Total Reply(0) Reply
  • মানিক ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৫৩ পিএম says : 0
    ভারতের মাতুব্বারির দিন শেষ
    Total Reply(0) Reply
  • সাব্বির ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৫৩ পিএম says : 0
    ভারত কারো বন্ধু হতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ