বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উপজেলা মৎস্য অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তাড়াশে ছোট-বড় মিলে ৫ হাজারের মত পুকুর রয়েছে। যুগযুগ ধরে এসব পুকুরে মুরগির বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করছেন মৎস্যচাষীরা। আর এ থেকে ফায়দা লুটছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ি। দুর্গন্ধযুক্ত মুরগির বিষ্ঠায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। পঁচে যাচ্ছে পুকুরের পানি। বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রব। শ^াসকষ্ট ও হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যবসায়িরা কাঁচা-পাকা বিভিন্ন আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কে স্তুপ করে ফেলে রেখেছেন মুরাগির বিষ্ঠা। কোথাও-কোথাও মাসের পর মাস সড়কের পাশেই পড়ে থাকে। সেখান থেকে ভটভটি আর অটোভ্যানে করে নিজেদের সুবিধা মত পুকুরে নিয়ে যাচ্ছেন মৎস্যচাষীরা।
উপজেলা সদরের পশ্চিম ওয়াপদা বাঁধ এলাকার বাসিন্দা খাদেম আলী, কাটাগাড়ি বাজার এলাকার জোতিষ মাহাতো, কুন্দইল গ্রামের জাকারুল ইসলাম, বারুহাস গ্রামের মো. আরিফ, গুল্টা গ্রামের রিনা উরাঁও, রানীহাট এলাকার আব্দুল হালিমসহ অনেকে জানান, মুরগির বিষ্ঠার দুর্গন্ধে সড়ক দিয়ে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। নাকে-মুখে কাপর চেপে পাড় হতে হয় এসব এলাকা। মাঝে মধ্যে সড়কের আশ-পাশের বসতঘরের কাছেই স্তুপ করে রাখা হয় এসব বিষ্ঠা। নিজেদের ঘরের দরজা-জানালাও বন্ধ করে থাকতে হয়। আর কোনকিছু খেতে গেলে বমি হওয়ার অবস্থা হয়। তারা আরো জানান, মুরগির বিষ্ঠার কারণে পুকুরের পানি পঁচে যাচ্ছে। মশা-মাছি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। পাখীরা এসেও ঠোকর দিচ্ছে। পঁচা গন্ধ ভেষে বেড়াচ্ছে বাতাশে। যে কারণে ব্যপক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন উপজেলার ৪ লক্ষাধিক মানুষ। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব জিতু জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী মুরগির বিষ্ঠার ব্যবসায়ি ও মৎস্যচাষীদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।