Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বর্জ্যরে আগুনে পুড়ছে সড়কের গাছ

আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভার নির্দিষ্ট ময়লা-আবর্জনা ফেলার সুনির্দিষ্ট কোনো ডাম্পিং স্টেশন নেই। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। বর্জ্য পোড়া আগুনে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ব্যাহত হচ্ছে ভারসাম্য, পুড়ছে মহামূল্যবান অক্সিজেন ফ্যাক্টরিখ্যাত গাছ।
জানা যায়, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দেবিদ্বার পৌরসভার বারেরা, চাপানগর, সাইলচর এলাকার সড়কের দু’পাশে রয়েছে সবুজ বনজ বৃক্ষ। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান ও পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের পাশে। দুর্গন্ধ, বায়ু দূষণ হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এ অবস্থা শুধু বারেরা, চাপানগর, সাইলচর এলাকাতেই নয় দেবিদ্বার পৌর এলাকাধীন বারেরা সরকার বাড়ির সামনে। এছাড়া ফুলগাছতলা, বানিয়াপাড়া, আলহাজ জোবেদা খাতুন মহিলা বিশ^ বিদ্যালয় কলেজ, আজগর আলী মুন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কেও। দেবিদ্বার পৌর এলাকার কয়েকশ বাসাবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি অফিস, ৩৫টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, শতাধিক হোটেলের কয়েকটন বর্জ্য পৌর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মাধ্যমে সড়কের দু’পাশে ফেলা হচ্ছে। এসব ময়লা-আবর্জনা থেকে জীবানু মুক্ত রাখায় পৌরসভা কর্তৃক ময়লার স্তুপগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে সড়কের পাশের মহামূল্যবান গাছগুলো আগুনে পুড়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক ভুক্তভেগী বলেন, সাইলচর এলাকায় বহু গাছ সাম্প্রতিক সময়ে ময়লা-আবর্জনার তেজস্ক্রিয়তায় মরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সাইলচর গ্রামের আলমঙ্গীর সরকার বলেন, ময়লার আগুনের ধোয়ায় আমি বাড়িতে থেকে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে কষ্টে হয়। এছাড়া একই কারণে বাড়ির ফলজ গাছগুলোতে ফল না আসা এবং গাছগুলো মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের উপ-প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, গাছ আমাদের নয়, বন বিভাগের, তবে জায়গা আমাদের। পৌরসভা আমাদের অনুমতি না নিয়েই সওজের জায়গায় ময়লা ফেলছে। দেবিদ্বার-মুরাদনগর অঞ্চলের সামাজিক বন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা মৌখিকভাবে বাঁধা দিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করব। নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেবিদ্বার পৌরসভার সচিব ফখরুল ইসলাম আগুনে ময়লা পুড়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, আমাদের নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় জীবানু ছড়িয়ে না পরার জন্য বর্জগুলো আগুনে পোড়া হচ্ছে। পৌর এলাকার ফতেহাবাদ মৌজায় এক একর জমি ক্রয় করে ডাম্পিং স্টেশন তৈরির প্রশাসনিক অনুমতি পেয়েছি। শিগগিরই জেলা পরিষদ মূল্যায়ন শেষে আগামীতে তা চালু করার জন্য রাস্তা তৈরি এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দূষিত পরিবেশ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ