বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হঠাৎ বৃষ্টিতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে সিংড়ার পাচবাড়িয়া এলাকায় জমে থাকা মাটি পিচ্ছিল হয়ে পাঁচ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত শেরকোল থেকে ডালসড়ক পর্যন্ত যানজটে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ে। এছাড়াও শুক্রবার বিকেলেও একই কারণে প্রায় তিন ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে হাজারো যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর এই ঘটনার সাথে পুকুর খননকারী ও ইটভাটা মালিকদের দায়ী করছে স্থানীয় প্রশাসন।
হাইওয়ে পুলিশ, সিংড়া উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ২টা ও শনিবার ভোর ৫টায় আকস্মিক দু’দফা বৃষ্টিতে শেরকোল-পাচবাড়িয়া এলাকায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে জমে থাকা মাটি পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে ট্রাক, বাসসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন পিছলে পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অন্য যানবাহনগুলোও চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়েই চালকেরা যানবাহন বন্ধ করে সড়কে দাঁড়িয়ে যায়। এতে শত শত ট্রাক, বাস, মাইক্রো, পিকআপ, সিএনজিসহ বিভিন্ন মোটরযানে যানজট সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় হাজারো যাত্রীকে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়ে। দীর্ঘ দূর্ভোগের পরে উপজেলা প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় ধীরে ধীরে যানবাহন চলতে শুরু করে। এসময় বিভিন্ন ইটভাটার শ্রমিকদেরকেও কোদাল ও হরপা হাতে রাস্তার পিচ্ছিল কাদামাটি সরাতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, শেরকোল-পাচবাড়িয়া এলাকায় কয়েকটি পুকুর ভরাট ও কয়েকটি ইটভাটার মাটি পরিবহনের সময় সড়কে পড়ে। আর হঠাৎ বৃষ্টিতে সেই জমে থাকা মাটি পিচ্ছিল হয়ে প্রতি বছরই দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এর পর প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রদক্ষেপ নেয় না। নাটোরগামী ট্রাক চালক আব্দুর রহিম বলেন, ইটভাটার মাটি পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় গাড়ী চালানো যাচ্ছে না। প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে কয়েক শ গাড়ী যানজটে রয়েছে। ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, এলাকার সকল ইটভাটার মাটিতে রাস্তার এই সমস্যা হয়েছে। আর সকল ভাটার পক্ষ থেকে এখন ডেইলি লেবার দিয়ে রাস্তা ধুয়ে দেয়া হচ্ছে। সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার স›দ্বীপ কুমার সরকার সড়কে মাটি পিচ্ছিল হয়ে যানবাহন বন্ধ হওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলেই রয়েছেন। আর বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।