মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার পূর্ব ঘৌতা ত্যাগ করতে শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। সরকারি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের পর তারা অবরুদ্ধ শহরটি থেকে পালিয়ে যাওয়া শুরু করেছে। এখন পাশে থাকা দৌমা শহরের বিদ্রোহীরা একা হয়ে পড়েছে। সরকারি বাহিনী তাদের আত্মসমর্পণের আহŸান জানালেও তারা এখনো সেখানে অবস্থান করছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। পূর্ব ঘৌতায় ২০১১ সালে প্রথম সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে এটাই ছিল বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি। গত এক মাসের লাগাতার হামলার পর সেখান থেকে পালানো শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। গত শনিবার দিবাগত রাতে বাসে করে বিদ্রোহী যোদ্ধা ও তাদের পরিবারসহ বেসামরিক নাগরিকরা সেখান থেকে চলে যান। তাদের সেখান থেকে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে তাদের নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে। বিদ্রোহীরা নিজেদের এলাকা ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে হালকা অস্ত্র নিয়ে সেখান থেকে পালানোর সুযোগ পেয়েছেন। একটি তল্লাশি চৌকি অতিক্রম করে সারিবদ্ধভাবে বাসগুলো পূর্ব ঘৌতার প্রধান সড়ক দিয়ে যায়। তার আগে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত সড়কগুলো থেকে ব্যারিকেড, ধ্বংসাবশেষ ও অবিস্ফোরিত বোমা সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া পূর্ব ঘৌতায় বিদ্রোহীদের হাতে আটক থাকা বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এক টেলিভিশন খবরে দেখানো হয়, মুক্তি পেয়ে বন্দিরা মিনিবাসে করে সেখান থেকে চলে যাচ্ছেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, পালানোর প্রস্তুতির জন্য বিদ্রোহীরা পিছু হটায় সেনাবাহিনী শহরটিতে ঢোকা শুরু করেছে। টেলিভিশনটিতে বিদ্রোহীদের খনন করা পরিখা ও বিভিন্ন বাংকারের ছবি প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, পূর্ব ঘৌতায় সেনাবাহিনীর হামলায় গত এক মাসে ১৬শ’ মানুষ নিহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সরকার সেখানে এমন অস্ত্র ব্যবহার করেছে যাতে বেশি প্রাণহানি ঘটে। হেলিকপ্টার থেকে ব্যারেল বোমা ফেলা হয়েছে, ক্লোরিন গ্যাসসহ দাহ্য পদার্থ ফেলা হয়েছে যাতে সহজেই আগুন ধরে যায়। পূর্ব ঘৌতার জামালকা, আরবিন, এইন তিরমা ও জোবার শহর থেকে বিদ্রোহী যোদ্ধা, তাদের পরিবার ও অন্যান্য বেসামরিক লোক মিলে প্রায় ৭ হাজার লোক চলে গেছে। তারা আসাদ সরকারের অধীনে থাকতে চায় না। তারা সবাই ইদলিবে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গিয়ে বাস করবে। গত দুই বছরে সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকার বিদ্রোহীদের একইভাবে আত্মসমর্পণ অথবা পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে সরকারি বাহিনী। রয়টার্স, আনাদোলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।