পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার আলেপ্পোয় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত বিদ্রোহীরা শহর ছাড়ার রুশ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। ফাসতাকিম নামে এক বিদ্রোহী গ্রুপের সিনিয়র কর্মকর্তা জাকারিয়া মালাহিফজি এই কথা জানান। এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন আলেপ্পোয় নতুন করে মানবিক বিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। নতুন এই প্রস্তাব অনুযায়ী, গত মাসে আলেপ্পোর বেসামরিক লোকদের নিরাপদে শহর ছাড়ার জন্য রুশ কর্তৃপক্ষ যে মানবিক জানালাগুলো তৈরি করেছিল তা শুক্রবারও খোলা ছিল। তবে এবার আগের চেয়েও বেশি সময় ধরে এই ব্যবস্থা কার্যক্রর রাখা হয় জানানো হয়েছে। জাকারিয়া মালাহিফজি বলেন, এটি (রুশ প্রস্তাব) গ্রহণের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কোনোভাবেই রাশিয়ার কাছে আলেপ্পো হস্তান্তর করে আত্মসমর্পণ করবো না। এর আগে গত বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিদ্রোহীদের শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই আলেপ্পো ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার ওই বিবৃতি আলেপ্পোতে বিমান হামলা অব্যাহত থাকারই ইঙ্গিত প্রকাশ করে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বিদ্রোহীরা নতুন কওে তৈরি করা দুটি বিশেষ করিডোর’র মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নিরাপদে এবং অস্ত্রসহ আলেপ্পো ছাড়ার সুযোগ পাবে। বিদ্রোহীদের শহর ছাড়ার সময় সেখানে কোনো সিরীয় সেনা না রাখারও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে বেসামরিকদের হতাহত হওয়া থেকে বাঁচাতে সব ধরনের হামলা স্থগিত রাখা হবে বলেও জানানো হয়। তবে মালাহিফজি জানান, প্রকৃতপক্ষে রুশ কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুত নিরাপদ করিডোর বলতে আসলে কিছু নেই। তিনি বলেন, এটি সত্যি নয়। বেসামরিক লোক এবং বিদ্রোহীরা আলেপ্পো ছাড়ছে না। তিনি আরও বলেন, বেসামরিক লোকজন সরকারি কর্তৃপক্ষকে ভয় পায়। তারা সরকারকে বিশ্বাস করে না এবং বিদ্রোহীরা অবশ্যই আত্মসমর্পণ করবে না। সিরিয়ার এক সময়ের বাণিজ্যিক রাজধানী আলেপ্পোয় সম্প্রতি গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। সিরিয়ার সরকার মনে করে, আলেপ্পো দখল করতে পারলেই ২০১১ সালের মার্চ থেকে চলা গৃহযুদ্ধ জয়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে তারা। আর তাই রুশ বাহিনীর বিমান হামলার সহায়তায় সম্প্রতি আলেপ্পো দখলে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তারা। আল-জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।