পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) যোদ্ধারা কাফের, ক্রুসেডার বলে আখ্যায়িত করে মার্কিন কমান্ডোদের সিরিয়ার একটি শহর থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছে। বিভিন্ন মিডিয়া এ খবর দিয়েছে। সূত্র আরটি।
উল্লেখ্য, গত মাসে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তুর্কি সৈন্যরা প্রকাশ্যে সিরিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তারা এখন সিরিয়ার আজাজ ও আল রাই শহরের মধ্যবর্তী এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। এ অভিযানে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর সৈন্যরা সহায়তা প্রদান ও সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করছে বলে তুর্কি সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে।
এদিকে মার্কিন সৈন্যদের উপস্থিতি সিরিয়ার সরকারবিদ্রোহী বাহিনীসহ স্থানীয়রা একেবারেই পছন্দ করেনি। শুক্রবার টুইটারে প্রচারিত কমপক্ষে দু’টি ভিডিওতে দেখা যায়, তুর্কি সৈন্যরা ও এফএসএ যোদ্ধারা আল-রাই শহরে পৌঁছলে তাদের সাথে মার্কিন কমান্ডোরাও সেখানে উপস্থিত হয়। কিন্তু কেউ তাদের সেখানে স্বাগত জানায়নি।
ভিডিও ফুটেজে আল-রাই শহরের প্রধান চত্বরে একদল বিক্ষোভকারীকে জড়ো হয়ে আরবিতে মার্কিনবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা আমেরিকা নিপাত যাক, কুকুররা সিরিয়া থেকে বেরিয়ে যাও, তারা সিরিয়াকে দখল করার জন্য আসছে প্রভৃতি স্লোগান দেয়। এ সময় তারা মার্কিন সৈন্যদের কাফের ও ক্রুসেডার বলে আখ্যায়িত করে। এ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল এফএসএ যোদ্ধা।
দ্বিতীয় একটি ভিডিওতে এফএসএর একজন যোদ্ধাকে বলতে শোনা যায়, সিরিয়াতে আমাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য আমরা একজন আমেরিকানকেও চাই না। আমরা মুসলমান, আমরা কাফের নই। তোমরা বেরিয়ে যাও। তারা মার্কিন কমান্ডোদের আল-রাই শহর ছাড়তে বাধ্য করে।
বার্তা সংস্থা রয়টারস মার্কিন কর্মকর্তা ও একজন ঊর্ধ্বতন বিদ্রোহী কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে জানায়, তারা মার্কিন সৈন্যদের বিরুদ্ধে এফএসএ ও স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভ প্রদর্শনের কথা স্বীকার করেছেন। এ বিক্ষোভের পর আল-রাই শহর থেকে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর ৫ বা ৬ জন কমান্ডো তুরস্ক সীমান্তে ফিরে যায়।
পেন্টাগন জানায়, তুর্কি সেনাবাহিনীর সাথে অভিযানে অংশগ্রহণ করার জন্য মার্কিন বিশেষ বাহিনীর ৪০ জন কমান্ডোকে পাঠানো হয়েছে। সিএনএন জানায়, এ যৌথ অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে অপারেশন নোবল ল্যান্স। এই প্রথমবারের মতো তুর্কি ও মার্কিন সৈন্যরা একত্রে সিরিয়ার অভ্যন্তরে কোনো অভিযানে অংশ নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।