পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় মানবিজ শহর থেকে অস্ত্র সমর্পণ করার পর শত শত ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাকে নিরাপদে চলে যেতে দিয়েছে। খবর আরটি।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর এক মুখপাত্র মার্কিন সেনা কর্নেল ক্রিস কারভার পেন্টাগন সাংবাদিকদের বলেন, সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) কমান্ডাররা ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধা ও বেসামরিক লোকপূর্ণ গাড়িবহরকে শহর ত্যাগ করার অনুমতি দেন। তাদের মধ্যে আইএস যোদ্ধাদের সংখ্যা ১শ’ থেকে ২শ’ বা বেশিও হতে পারে।
কর্নেল কারভার প্রত্যেকটি গাড়িতে আইএসের বেসামরিক লোক থাকার কথা বলেন। তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী হতাহতের ঘটনা এড়াতে চেয়েছিল। এসব গাড়িতে কত সংখ্যক বেসামরিক লোক স্বেচ্ছায় গেছে তা তিনি জানেন না বলে জানান। তবে কিছু লোক জিম্মি ছিল বলে মনে হয়েছে। শুক্রবার ১শ’ থেকে ২শ’ আইএস যোদ্ধা মানবিজ শহর ত্যাগ করে। তারা যাতে পুনঃসংগঠিত হতে ও শহরে ফিরতে না পারে সে জন্য তারা জোট বাহিনীর ড্রোনগুলোর নজরদারিতে ছিল।
আইএসের সাথে এ ধরনের চুক্তির ঘটনা এই প্রথম। আইএস যোদ্ধারা সাধারণত পলায়নের জন্য বেসামরিক লোকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
কর্নেল কারভার বলেন, তারা বেসামরিক লোকদের গুলির মুখে রাখে যাতে তাদের মৃত্যুকে প্রচারণায় ব্যবহার করতে পারে।
মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এপি জানায়, আইএস যোদ্ধাদের মধ্যে কিছু ইতোমধ্যে তুরস্কে পৌঁছেছে এবং অনেকেই এখনো সিরিয়ায় রয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের তিন মাস ধরে একটানা বোমাবর্ষণ ও মার্কিন সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীদের অব্যাহত হামলার মুখে আইএসের শক্ত ঘাঁটি মানবিজের পতন ঘটে।
জুলাই মাসে জোট জঙ্গিবিমানগুলো মানবিজে আইএস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এক হাজারেরও বেশি বোমা ও রকেট নিক্ষেপ ও জঙ্গিবিমান থেকে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে যাতে প্রায় ২ হাজার আইএস যোদ্ধা নিহত হয়। এসডিএফ শুক্রবার মানবিজের নিয়ন্ত্রণ লাভের পর এখন আশপাশ এলাকায় আইএস ও বোমামুক্ত করার অভিযান চালাচ্ছে।
পেন্টাগন জানায়, আইএস শহরটিতে বোমা পেতে রেখেছে ও ভবনগুলোকে বিস্ফোরক সজ্জিত করে বিপজ্জনক করে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা মানবিজ বিজয়কে এসডিএফ ও জোটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। কারণ, এটি তুরস্ক সীমান্ত ও আইএসের কার্যত রাজধানী রাক্কার মধ্যকার একটি বড় সরবরাহ পথের ওপর অবস্থিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।