Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুসলিম ব্রাদারহুডের চিহ্ন মুছে ফেলতে সউদী আরবে শিক্ষা পাঠ্যক্রম পুনর্গঠন

আখবার আল-ইয়াউম ইংলিশ | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সউদী আরব মুসলিম ব্রাদারহুডের চিহ্ন মুছে ফেলার লক্ষে তার শিক্ষা পাঠ্যক্রম পুনর্গঠন করছে। এ খাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত গ্রæপটির প্রতি সহানভ‚তিশীল কাউকে পাওয়া গেলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে।
অত্যন্ত রক্ষণশীল মুসলিম দেশটির আধুনিকায়নে যুবরাজ মেহাম্মদ বিন সালমান ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি যেসব অঙ্গীকার করেছেন তার মধ্যে একটি হচ্ছে ইসলামের অধিকতর উদার রূপ চালু করা।
সউদী শিক্ষা মন্ত্রী আল ইসা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, উগ্রপন্থী মতাদর্শ মোকাবেলা করার লক্ষে মুসলিম ব্রাদারহুডের কোনো প্রভাব নেই তা নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল পাঠ্যক্রম ও বই পর্যালোচনা করে দেখার জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ও বিশ^বিদ্যালয় থেকে এ ধরনের বই নিষিদ্ধ করব এবং এ গ্রæপ ও তাদের মতাদর্শের প্রতি সহানুভ‚তিশীল সকলকে চাকরিচ্যুত করা হবে।
সেপ্টেম্বরে এক বৃহৎ সউদী সরকারী বিশ^বিদ্যালয় ঘোষণা করেছিল যে তারা মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহভাজন কর্মচারীদের বরখাস্ত করবে। এতে উদ্বেগ দেখা দেয় যে সরকার শিক্ষাক্ষেত্র ও তার বাইরেও সমালোচকদের দমন করছে।
এ মাসের গোড়ার দিকে যুবরাজ মোহাম্মদ এক সাক্ষাতকারে সিবিএসকে বলেন যে সউদী স্কুলগুলোতে মুসলিম ব্রাদারহুডের অনুচররা ঢুকে পড়েছে। সউদী আরব মুসলিম ব্রাদারহুডকেআল কায়েদা বা ইসলামিক স্টেটের মত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে।
অভ্যন্তরীণ হুমকি
তরুণ সউদী যুবরাজ সউদী আরবের অতি-কঠোর সামাজিক বিধিনিষেধসমূহ অপসারণে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় নৈতিকতা পুলিশের ভ‚মিকা হ্রাস, পাবলিক কনসার্টে অনুমোদন ও মহিলাদের গাড়ি চালােেনার অনুমতি প্রদান।
ক্ষমতাসীন আল সউদ পরিবার ইসলামী গ্রæপগুলোকে সব সময়ই তাদের সউদী আরব শাসনের প্রতি বড় ধরনের হুমকি হিসেবে গণ্য করে। দেশটিতে ধর্মীয় আবেদন গভীর অনুভ‚তি সৃষ্টি করে এবং এক দশক আগে আল কায়েদা বিরোধী অভিযানে কয়েকশ লোক নিহত হয়।
সউদী রাজপরিবারের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আল সউদ পরিবারের সাথে দেশের উগ্র রক্ষণশীল ওয়াহাবিবাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তাদের রাজনৈতিক দর্শনে শাসকের প্রতি আনুগত্যের কথা রয়েছে। পক্ষান্তরে ব্রাদারহুড বিপ্লবী পদক্ষেপের আহবান সম্বলিত রাজনৈতিক মতাদর্শ ধারণ করে।
প্রায় ১শ’ বছর আগে একটি রাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হিসেবে মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি বলে, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মকান্ডের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ ও নির্বাচনের মাধ্যমে সংস্কার করতে চায়। ব্রাদারহুডের শাখাগুলো এ অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে এবং তিউনিসিয়া থেকে জর্দান পর্যন্ত আরব দেশগুলোতে তারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত।
অর্ধ শতক আগে মিসর, সিরিয়া ও ইরাকে নিপীড়ন থেকে রক্ষাা পেতে ব্রদারহুড সদস্যরা সউদী আরবে আশ্রয় নেয়। তাদের কেউ কেউ সউদী শিক্ষা ব্যবস্থায় ভ‚মিকা গ্রহণ করে এবং সাহওয়া বা জাগরণ আন্দোলন প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে। তারা ১৯৯০-এর দশকে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে।
কিছু কর্মী গ্রেফতার ও অন্যরা সমন্বয়ের আওতায় আসার পর সাহওয়া হয়। তবে এর আবেদন আজো আছে এবং রয়েছে অনুসারীরাও।



 

Show all comments
  • Fahim Hasan Rubel ২৩ মার্চ, ২০১৮, ৩:৪৭ এএম says : 0
    kisu bolar nai
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী আরব


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ