পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীন শত্রুদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। গত মঙ্গলবার চীনের পার্লামেন্টারি অধিবেশনের সমাপণী দিনে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্দীপ্ত শি এ হুঁশিয়ারি দেন। এ অধিবেশনে শিকে দ্বিতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে তাকে অনির্দিষ্টকাল থাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
দেশব্যাপী প্রচারিত টেলিভিশন ভাষণে শি বলেন, চীনা জনগণ অদম্য ও অটল। আমরা আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের জন্য দৃঢ়সংকল্প এবং স্বাধীনতার ভিত্তিতে অবশিষ্ট অংশ পুনর্দখলে অনমনীয়।
শি শত্রুদের পরিচয় প্রকাশ করেন নি। তিনি বলেন, চীন তার এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না।
বিশ্লেষকরা প্রশ্ন করছেন যে, মাও জে দং যেমন করেছিলেন শি কি মত তার বলিষ্ঠ বক্তৃতা শক্তির সাথে জাতীয়তাবাদী উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হবেন? শিকে এখন ব্যাপক ভাবে মাও-এর সাথে তুলনা করা হচ্ছে। তিনি যতদিন ইচ্ছা ক্ষমতায় থাকবেন।
লন্ডনের কিংস কলেজে লাউ চায়না ইনস্টিটিউটের পরিচালক কেরি ব্রাউন মনে করেন যে মাও চীনা জনগণের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করেছিলেন। শি’র ক্ষেত্রে তা হয়নি।
সম্প্রতি বেইজিংয়ে এক বক্তৃতায় মাও-এর সাথে শি’র তুলনা করে ব্রাউন বলেন, এটা ব্যক্তিগত , আবেগময় বিষয় নয়। আজকের চীনা জনগণ রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্পর্কে উৎসাহী নয়, বরং তারা বস্তুগত বিষয়েই বেশি আগ্রহী।
চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে বক্তৃতায় শত্রুদের চিহ্নিত করেননি। তিনি বলেন, চীনা জনগণ ও চীনা জাতি যে অভিন্ন সংকল্পকে ধারণ করে তা হল আমাদের এক ইঞ্চি ভ‚খন্ডও ছাড়ব না, ছাড়া হবে না।
শি তার কথায় তাইওয়ানের দিকে ইঙ্গিত করেন বলে মনে করা হয়। তঝবে পরে তার বক্তব্যের আওতায় অরুণাচল প্রদেশের মত এলাকাও অন্তর্ভুক্ত বলে ধারণা যা চীনের নয়, কিন্তু চীন তা নিজের বলে দাবি করে।
শি পার্লামেন্টের ৩ হাজার প্রতিনিধিকে বলেন, আধুনিক যুগের প্রেক্ষিতে মহান চীনা জাতির পুনরুজ্জীবন আমাদের জাতির বৃহত্তম স্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বে আমাদের প্রাপ্য স্থান গ্রহণের বলিষ্ঠ সামর্থ আমাদের রয়েছে। ১৭০ বছর ধরে আমরা এই বৃহত্তম স্বপ্নের জন্য লড়েছি। আজ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে চীনা জনগণ সেই স্বপ্নের নিকটবর্তী। আমরা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক আস্থাবান এবং পুনরুজ্জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্ষম।
উল্লেখ্য, ভারত ছাড়াও পূর্ব চীন সাগরে জাপানের সাথে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ব্রুনেই ও তাইওয়ানের সাথে চীনের আঞ্চলিক বিরোধ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।