বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী ব্যুরো : বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ ৩১ মার্চ ঘিরে তৎপর বিভাগীয় আট জেলাসহ দশ সাংগঠনিক জেলার নেতাকর্মীরা। রাজশাহী ছাড়াও বিভাগের জেলাগুলোয় বৈঠক চলছে। লক্ষ্য সমাবেশকে মহাসমাবেশে রুপান্তর করার জন্য তৃনমূল পর্যন্ত চলছে প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে বিভাগের আটজেলাসহ দশ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সাধারন সম্পাদক এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেছেন। মহানগর ও জেলা বিএনপিও আলাদা ভাবে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমাবেশে সফল করার। এসব সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মহানগর বিএনপির সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতা ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। যে কোন মূল্যে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার সংকল্প ব্যাক্ত করেন। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে সমাবেশ সফল করার কথা। এজন্য বেশ কদিন আগে সিটি মেয়র বুলবুলের সেতুত্বে একটি প্রতিনিধি দল মহানগর পুলিশ কমিশনারের সাথে সাক্ষাত করে সমাবেশের অনুমতির জন্য আবেদনপত্র তুলে দেন। কিন্তু গত দশদিনেও এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে কিছুই জানানো হয়নি। গত ২২ ফেব্রæয়ারী এ মাঠে জনসভা করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ মাঠে রাজশাহীতে বিএনপির সর্বশেষ সমাবেশ হয় ২০১৪ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণে। এরপর আর বিএনপি বড় কোন সমাবেশ করার সুযোগ পায়নি। ছোট খাট সভা সমাবেশ বিক্ষোভ মিছিলসহ কর্মসূচি পালন করতে গেলে পড়তে হয়েছে পুলিশী বাধার মুখে। জেলা বিএনপির তেমন তৎপরতা না থাকলেও মহানগর বিএনপির কর্মসুচি আবদ্ধ হয়েছে মালোপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে। পাশেই ঐতিহাসিক ভূবনমোহন পার্ক। এক সময় এ পার্কই ছিল রাজশাহীর জনসভার অন্যতম কেন্দ্র। যদিও এখন পার্ক তার ঐতিহ্য হারিয়েছে। সেখানেও সভা সমাবেশ করার অনুমতি নেই। ফলে দলীয় কার্যলয়ের নীচের রাস্তায় ভরসা। আর এনিয়ে বিরক্ত দু’পাশের ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাতো দুরে থাক কখনো কখনো দোকান মালিকরা তাদের দোকান খুলতে যেতে পারেন না। তাদের অভিমত ভূবনমোহন পার্কে সভা সমাবেশ হোক। এটা চারিদিক ঘেরা। কোন বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে দু:খ প্রকাশ করা হয়। বলা হয় এর জন্য দায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসুচি পালন করতে বাধা দেয়। বিভাগীয় সমাবেশের ব্যাপারে মহানগর বিএনপি সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, আমরা নিয়ম মেনে মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে দরখাস্ত দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পায়নি। আশা করছি মাদরাসা মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি মিলবে। সমাবেশ সফল করার জন্য প্রচার প্রচারণা চলছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আশা করি পুলিশ প্রশাসন বিএনপিকে মাদরাসা ময়দানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সম্মান প্রদান করবে। সমাবেশের অনুমতির ব্যাপারে মহানগর পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, আমরা আবেদন পেয়েছি। তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামতের সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তাছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে যেভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে সে মোতাবেক হতে পারে। উল্লেখ্য, বিএনপি অন্যান্য বিভাগীয় শহরে তাদের চাহিদামত স্থানে সমাবেশের অনুমতি পায়নি। আবার তাদের জানানো হয়েছে সমাবেশের কয়েক ঘণ্টা আগে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।