পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাসাবাড়িতে এডিস মশার জীবাণু পেলে জেলা-জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে বাসাবাড়িতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। তখন কোনো বাড়িতে এডিস মশার জীবাণু পেলে জেল-জরিমানা, ক্ষেত্র বিশেষে উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হতে পারে। এজন্য নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান মেয়র।
গতকাল সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বচ্ছ ঢাকা’ কর্মসূচির আওতায় মশক বাহিত রোগপ্রতিরোধ ও মশক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন। নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোরে ঢাকা দক্ষিণসিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) স্ব^াস্থ্য বিভাগ এ আয়োজন করে।
সাঈদ খোকন বলেন, আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) থেকে সংবাদমাধ্যমের সহায়তায় গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। যে গণবিজ্ঞপ্তির মধ্যে থাকবে প্রত্যেক নাগরিক আপনি আপনার বাসাবাড়ি বা বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত টায়ার বা কন্টেইনারে স্বচ্ছ পানি জমে থাকলে পরিচ্ছন্ন রাখুন। একইসঙ্গে ১ লাখ ৬৫ হাজার হাউজ হোল্ডে সচেতনতামূলক গণবিজ্ঞপ্তি পৌঁছে যাবে। প্রত্যেক বাড়ির মালিককে এই গণবিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ জারি করবো। নোটিশে উল্লেখ থাকবে ভবনগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন, কোনোক্রমে কোনো অবস্থাতেই যেন এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র না থাকে এটা নিশ্চিত করবেন। আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম ২০ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, রেডিও, টেলিভশনসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের কায্যক্রম আরো জোরদার করতে চাই, যাতে জনগণ এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। পাশাপাশি আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব যেটা রয়েছে সেটাকে গতিশীল করে মশার প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট করতে আমাদের কার্যক্রম চলবে।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আগে কখনো যেটা করিনি আজকের সভা থেকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে চাই। আমরা আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। আপনার বাসাবাড়ি আপনি পরিষ্কার করুন। ৮ এপ্রিল থেকে বাসাবাড়িতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। সেই মোবাইল কোর্টের সময় যেসব ভবনে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র পাওয়া যাবে বা লার্ভা পাওয়া যাবে, আইনানুযায়ী সেই সব ভবন মালিকের বিরুদ্ধে অর্থদন্ড, কারাদন্ড এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
তিনি আইনের ব্যাখা তুলে ধরে বলেন, আমাদের পেনাল কোর্টের ২৬৯ এবং ২৭০ এর আওতায় দন্ডিত করার বিধান রয়েছে। আমরা চাইন না কোনো নাগরিক কোনোক্রমে বিব্রত অবস্থার মধ্যে পড়–ক। পাশাপাশি এও চাই, কারো কোনো অবহেলাজনিত কারণে অন্য কোনো নাগরিক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন।
মতবিনিময় সভা শেষে মেয়র সাঈদ খোকন আনন্দবাজার এলাকায় আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় এলাকার যেসব দোকান-পাট ফুটপাত দখল করে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ করে রেখেছিল তাদের কঠোর নির্দেশনা দেন। এরপর এসব এলাকায় আবর্জনা পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন মেয়র।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহউদ্দীন, স্থপতি মোবাশ্বেরহোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজা মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. দেবাশীষসরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, আইসিডিডিআরবির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নুজহাত নাসরিন বানু, সেফওয়ে পেস্ট কান্ট্রোলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মঞ্জুর চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।