Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নোবেল বঞ্চিত হকিংয়ের যেসব কথায় বিশ্ব উদ্বুদ্ধ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্যার আলবার্ট আইনস্টাইনের পর সবচেয়ে সফল বিজ্ঞানীদের অন্যতম প্রফেসর স্টিফেন হকিং। তিনি বিজ্ঞানে কালজয়ী সব থিওরি বা তত্তে¡র অবতারণা করেছেন। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল পরিয়ে দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু তাকে দেয়া হয়নি নোবেল পুরস্কার। এমনকি ‘বøাক হোলও মরতে পারে’ এমন তত্ত¡ দেয়ার পরও তিনি কোন নোবেল পুরস্কার পাননি। কিন্তু কেন? এ প্রশ্ন সামনে আসা স্বাভাবিক। স্টিফেন হকিংয়ের ‘ব্ল্যাক হোলসও মরতে পারে’ তত্ত¡ এখন থিওরিটিক্যাল পদার্থবিজ্ঞানে ব্যাপকভাবে মেনে নেয়া হয়েছে। তবে তার এই তত্ত¡টি যাচাই করার কোনো উপায় নেই। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনে ‘দ্য সায়েন্স অব লিবার্টি’ বইয়ের লেখক টিমোথি ফেরিস এমন কথা লিখেছেন, স্টিফেন হকিং নোবেল পুরস্কার পেতেন, যদি তার তত্ত¡কে প্রমাণ করা যেতো। অথবা চোখের সামনে দেখানো যেতো যে ব্ল্যাক হোল মারা যাচ্ছে। কিন্তু এই ব্ল্যাক হোলসের মৃত্যু তো হবে না আরো কয়েক শত কোটি বছরেও। খবরে বলা হয়, হকিংয়ের কথা যুগ যুগ ধরে অনুপ্রাণিত করে গেছে বিশ্বকে। স্টিফেন হকিংয়ের বিখ্যাত কিছু উক্তি পাঠকের জন্য উপস্থাপন করা হলো। আমরা খুবই সাধারণ সৌরজগতের ছোট গ্রহের সাধারণ প্রাণী। তবে এখান থেকে যদি আমরা মহাবিশ্বকে জানতে পারি সেটাই আমাদের বিশেষ করে তুলবে। লাখ লাখ বছর ধরে মানুষ শুধুমাত্র পশুপাখির মতো বসবাস করে আসছে। এরপর আমরা কল্পনা করতে শিখি। বলতে শিখি, শুনতে শিখি। ফলে আমাদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি হয়। একসঙ্গে কাজ করতে শিখি আমরা। মানবজাতির বড় সাফল্যগুলো এই যোগাযোগ বা কথার মাধ্যমেই অর্জিত হয়েছে। আর বড় ব্যর্থতার দায় যোগাযোগহীনতা বা কথা না বলা। ভবিষ্যতে আমাদের সব আশাই পূরণ হবে। প্রযুক্তির এই যুগে সম্ভাবনা সীমাহীন। আমাদের শুধুমাত্র কথা বলে যেতে হবে। আমার জীবনের একটাই লক্ষ্য, আর তা হলো মহাজগতকে সম্পূর্ণরূপে জানা। এর অস্তিত্ব কেন এবং কেনই বা এটা সর্বত্র আছে। আমি মস্তিষ্ককে একটি কম্পিউটার মনে করি। কম্পিউটার নষ্ট হলেও কোনও স্বর্গ-নরক নেই। এটা শুধু মানুষের তৈরি করা গল্প, যারা অন্ধকার ভয় পায়। পায়ের দিকে নয়, আকাশের তারার দিকে তাকাও। বোঝার চেষ্টা করো যে মহাবিশ্বের অস্তিত্ব কেন। যত কঠিনই হোক না কেন, হাল না ছাড়লে সফলতা আসবেই। জীবনে আনন্দ না থাকলে সেই জীবন অর্থহীন। আমার যখন ২১ বছর বয়স তখনই আমার প্রত্যাশার সমাপ্তি। বাকি সবকিছুই আমার জন্য বোনাসস্বরূপ। যারা বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বড়াই করেন, তারাই জীবনে হেরে গিয়েছেন। গত ৪৯ বছর নিয়ে আমার মৃত্যু নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তাই আমি আর মরতে ভয় পাই না। তবে এখনই মরতে চাই না। এখনও অনেক কাজ করার বাকি আমার। রয়টার্স, গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নোবেল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ