Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কে নির্বাচনকালীন বিধি সংস্কার আইন পাস

নতুন আইন জালিয়াতির সুযোগ দেবে, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে : বিরোধী দল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

তুরস্কের সংসদে নির্বাচনকালীন বিধি সংস্কার করতে একটি নতুন আইন পাস হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। বিরোধী দল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এই নতুন আইন জালিয়াতির সুযোগ তৈরি করে দেবে এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানায়, নতুন আইন পাস হওয়া মাত্রই তুরস্কের সংসদ সদস্যদের অনেককেই উত্তেজিত হয়ে হট্টগোল করতে দেখা গেছে। তারা কেউ কেউ ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হয়েছেন। বিতর্কিত যে আইনটি নিয়ে এতো উত্তেজনা সেই আইনটি পাস হওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনি জোট গঠনের বিষয়টি একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে এলো। এতে ক্ষমতাসীনদের সুবিধা হবে। কারণ, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী এমএইচপি দলের রাজনৈতিক সমঝোতা শক্তিশালী। এই আইন পাস হওয়ার কারণে তারা আইনি প্রক্রিয়ায় নির্বাচনি জোট গঠনের সুযোগ পাবে। তাছাড়া, আইন পাস হওয়ার ফলে, নির্বাচন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ নির্বাচনি একাধিক আসনকে একীভূত করতে পারবে। তারা এক নির্বাচনি জেলার ব্যালট বাক্স অন্য জেলায় নিয়ে যেতে পারবে। স্থানীয় নির্বাচন পরিচালনা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ব্যালট পেপার বৈধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রসঙ্গত, এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে গত বছর গণভোট হলে তখনও বাদ-প্রতিবাদও হয়েছিল। বিরোধীদল ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা সেসময়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু এরদোগান সরকার সব সমালোচনার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট এতগুলো বিতর্কিত বিষয়ের আইনি বৈধতা নিশ্চিত করে ফেললো। আইনে আরও বলা হয়েছে, কোন ভোটার চাইলে সেনাসদস্যরা ভোট কেন্দ্রের ভেতরে যেতে পারবে। সরকার মনে করে এতে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে শক্তিশালী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির হুমকি মোকাবেলা করা সহজ হবে। বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা, বিশেষ করে প্রধান বিরোধীদল সিএইচপির প্রধান বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে সেনা উপস্থিতি ভোট গণনায় প্রভাব ফেলতে পারে। আর কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি সন্দেহ প্রকাশ করেছে, যেসব স্থানে তাদের শক্তিশালী সমর্থন রয়েছে সেখানকার ব্যালট বাক্স অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ