পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আরটি : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার আফরিন অঞ্চলে তুরস্কের সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান সমর্থন না করার জন্য ন্যাটো মিত্রদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি তাদের কাছে প্রশ্ন করেনঃ তুরস্ক কি ন্যাটোর সদস্য দেশ নয়? তবে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, অন্তÍত প্রকাশ্যে তুরস্কের সমালোচনা তারা করেনি। সে সাহস তাদের হয়নি।
শনিবার মারসিন শহরে ক্ষমতাসীন এ কে পার্টির সমাবেশে ভাষণদান কালে এরদোগান ন্যাটোর প্রতি কড়া মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ন্যাটো কোথায়? আমরা অনেক বেশি লড়াই করছি। তুরস্ক কি ন্যাটো জোটভুক্ত দেশ নয়? আপনারা কোথায়? আপনারা ন্যাটো সদস্যদের আফগানিস্তানে আমন্ত্রণ করেছেন।
্এরদোগান বলেন, ন্যাটো সদস্যরা তুরস্কের অপারশেন অলিভ ব্রাঞ্চের প্রতি যে কোনো সমর্থন প্রদর্শন করেননি শুধু তাই নয়, তারা সিরিয়ায় আংকারার পদক্ষেপের খোলাখুলি বিরোধিতাও করতেন, কিšুÍ তা করার সাহস তাদের হয়নি।
সিরিয়ার উত্তরাংশে আফরিন অঞ্চলে কুর্দি ওয়াইপিজি গ্রæপের বিরুদ্ধে তূরস্ক অভিযান শুরু করে জানুয়ারির শেষে। তুরস্ক ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্র্টির অঙ্গ সংগঠন বলে গণ্য করে।
এরদোগান বলেন, তুরস্কের সৈন্য ও সহযোগী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) অভিযানে এ পর্যন্ত এ অভিযানে ৩,২১৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
ন্যাটো প্রসঙ্গে তুর্কি প্রেসিড্টে বলেন, তারা আসলে যদি পারত তাহলে খোলাখুলি ভাবে তুরস্কের সিরিয়া অভিযানের বিরোধিতা করত। কিšুÍ তুরস্কের অনমনীয় অবস্থানের কারণে তারা তা করার সাহস পায়নি।
তিনি তার আগের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-ই তার সিরিয়া অভিযানের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জিত হলেই তুরস্ক সিরিয়া থেকে তার সৈন্য সরিয়ে নেবে।
এরদোগান বলেন, অন্য রাষ্ট্রের ভ‚খন্ড দখল তুরস্কের লক্ষ্য নয়, তুরস্কের লক্ষ্য এ অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা। সন্ত্রাসবাদীরা যেখানেই তৎপর হবে তুরস্ক সেখানেই অভিযান চালাবে।
ওয়াশিংটন তাদের ভাষায় আফরিন অঞ্চলে আগ্রাসন বন্ধের জন্য তুরস্ককে আহবান জানিয়েছে। তবে মার্কিন নেতৃত¦াধীন জোট বছরের পর বছর সিরিয়া সরকারের আমন্ত্রণ বা আন্তর্জাতিক অনুমোদন ছাড়াই সিরিয়ায় অবস্থান করছে সে কথা তারা এড়িয়ে যাচ্ছে। এদিক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও এরদোগানকে সিরিয়া আগ্রাসন বন্ধের আহবান জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।