শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
ইবরাহীম খাঁর সাহিত্য সাধনার প্রধান উপজীব্য মুসলমান সমাজের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনের পূর্ণ জাগরণের প্রয়াস। তার আবির্ভাব বাঙালি মুসলমান সমাজের যুগসন্ধিক্ষণে। একজন শিক্ষাবিদ-সমাজ সংস্কারক হিসেবে সমাজ জীবনে নব জাগরিত প্রেক্ষাপট নির্মাণই ছিল তার জীবন ব্রত। মুক্তবুদ্ধির চর্চা, মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ইবরাহীম খাঁর সাহিত্য সাধনার মূল সুর। সমকালীন সমাজের নানা রূপ বৈসাদৃশ্য বিশেষ করে তন্দ্রালু মুসলিম সমাজকে জাগিয়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। উত্তর ভারতের মুসলমান সমাজে স্যার সৈয়দ আহমদের আবির্ভাব ও ভূমিকা যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ, বাঙালি মুসলমান সমাজে ইবরাহীম খাঁর অবস্থান তদ্রƒপ।
তিনি স্বীকার করেছেন সেই সত্য-সাহিত্য শুধু আর্ট নয়, জীবনের বাণীও। সে কারণেই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জনজীবন তার সাহিত্যের মৌল উপাদান। বাংলাদেশ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনার জবাবে তিনি বলেছিলেন, “শহরের যে রাস্তায় দশটি বিজলি বাতি জ্বলে, আমি আর দশটি বিজলি বাতি নিয়ে সেখানে যাই নাই। আমি বাতি নিয়ে গিয়েছি জোনাকীদের সহযোগিতায় আধ আঁধার পথে। সরকারি শহরের সরকারি ভাগ্যবানদের জ্ঞানোজ্জ্বল দুয়ারে আর পাঁচটা মশাল জ্বালাতে আমি যাই নাই। আমি গিয়েছি ছোট ছোট চাটি নিয়ে বেসরকারি পল্লীর বেসরকারি দরিদ্রের অন্ধকার মহলে। আমার সাহিত্য অঙ্গনে বেশির ভাগ স্থান দখল করে আছে ধোপা, নাপিত, জেলেনী, বেদেনী, কৃষক, দফতরি, দিনমজুর, সাপুড়ে, পিয়াদা, ফকিন্নী, চাকরানী, ডাকাত, খুনি, লাঠিয়াল, বারবনিতা। এ জতাহীন অতিথিরা আমার দুয়ারে পায়ের ধুলি রেখে যায়, আমি তা আমার ভা-ার ঘরে অমূল্য সঞ্চয় রূপে তুলে রাখি।” তিনি আরো লিখেছেন, “আমার লেখায় দরিদ্র, ব্যথিত মজলুমদের কথাই প্রধানত স্থান পেয়েছে। সত্য বটে সে লেখায় মুস্তফা কামালের হুংকার আছে, আনোয়ার পাশার বিজয়ডঙ্কা আছে, সুলতান সালাউদ্দীনের তলোয়ারের আস্ফালন আছে কিন্তু তা পরাজয়ের জন্য নয়, মজলুমকে, আজাদিহারা, গৃহহীন ও অভাগাদের আশ্রয়দানের জন্য।”
সমাজ হিতৈষণাই ছিল তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য। অধঃপতিত, দুস্থ, অসহায় সর্বোপরি রাজ্যহারা মুসলমানের হতাশা দূর করে কর্মমুখী, শিক্ষামুখী এবং উদারপন্থি করার চিন্তায় তিনি এতটাই চিন্তিত ছিলেন যে, সে আবেগেই কাজী নজরুল ইসলামকে চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন- “বাংলার বহুদিনের ধ্যানের স্বপন সফল করতে তুমি এসেছ। অপূর্ব তোমার শক্তি অদ্ভুত তোমার প্রকাশ ক্ষমতা। তোমায় নিয়ে দেশময় আলোড়ন উঠেছে। তুমি মুসলমান সমাজের দিকে আরো সদরদ নজর দাও; তারা তনমন উভয়েই গরিব, সাহায্য তাদের বেশি দরকার, তাদের দিকে আরো এগিয়ে এস।”
ইবরাহীম খাঁ সাহিত্যিকে সামাজিক জাগরণ, সমাজ সংস্কারের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন এবং এদিকে তার অবদান বেগম রোকেয়া ও নজরুল ইসলামের প্রায় সমপর্যায়ের বলা যায়।
নারীশিক্ষা সম্পর্কে ইবরাহীম খাঁ লিখেছেন- “পুরুষ সমাজে লেখাপড়া ধীরগতিতে হলেও ক্রমে এগিয়ে চলেছে কিন্তু মেয়েদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা হয় নাই। এর ফলে ক্রমেই অধিক হতে অধিকতর সংখ্যায় শিক্ষিত স্বামীকে নিরক্ষর বা স্বল্প শিক্ষার স্ত্রীকে নিয়ে ঘর করতে হচ্ছে। স্বামী পড়বেন হ্যামলেট আর স্ত্রী পড়বেন টোনাটুনির গল্প, স্বামী আলোচনা করবেন কাল মার্কস আর স্ত্রী আলোচনা করবেন ও পাড়ার ক্ষ্যান্ত মাসির নাকের নথের পরিধি- এ নিয়ে বাইরে রসিকতা করা চলে, কিন্তু ভিতরে সওয়া যায় না।”
বেগম রোকেয়া এরকমই একটি বর্ণনা দিয়েছেন নারীশিক্ষার অনগ্রসরতা নিয়ে। তিনি লিখেছেন- ‘স্বামী যখন পৃথিবী হইতে সূর্য ও নক্ষত্রের দূরত্ব পাবেন, স্ত্রী তখন একটা বালিশের ওয়াড়ের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ (সেলাই করিবার জন্য) মাপেন। স্বামী যখন কল্পনা সাহায্যে সুদূর আকাশে গ্রহ-নক্ষত্রমালা বেষ্টিত সৌরজগতে বিচরণ করেন সূর্যম-লের ঘনফল তুলাদ-ে ওজন করেন এবং ধূমকেতুর গতি নির্ণয় করেন স্ত্রী তখন রন্ধনশালায় বিচরণ করেন, চাউল ডাল ওজন করেন এবং রাঁধুনীর গতি নির্ণয় করেন।’ (অর্ধাঙ্গী/ মতিচুর-১)
‘রসনা-পূজা’য় লিখেছেন- ‘স্ত্রীলোকেরা ঐ পূজার (রসনা-পূজার) আয়োজনে সমস্ত সময় ব্যয় করেন। অন্য বিষয়ে দৃষ্টিপাত করিতে তাঁহাদের অবসর থাকে না। সমস্ত দিন ও অর্ধরাত্রি ত তাঁহাদের রন্ধনের চিন্তায়ই অতিবাহিত হয়, পরে নিদ্রায় স্বপ্নদেখেন- যাঃ! মোরব্বার সিরা (চিনির রস) জ্বলিয়া গেল।’
সমাজের বহু অসঙ্গতি তার সাহিত্যের আলোচ্য বিষয়। প্রবন্ধ, কথিকা হয়ে উঠেছে সেসবের কথামালা। সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ তাকে যেমন তাড়িত করেছে তিনি সেসব দূর করতে তুলে ধরেছেন সুচিন্তিত মতামত। ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ১৯৪৭ সালে কুমিল্লার মতলবগঞ্জে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক শিক্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি মন্তব্য করেন- “সময়ে অসময়ে, সকারণে অকারণে নিজ সাময়িক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য ছাত্রদের ডেকে ডেকে আমরা শিক্ষকরাই তাদের চিত্তে বিভ্রম জমিয়েছি। ছেলেরা যে আগের তুলনায় কম করতে চায় তার আর এক বড় কারণ আমার মনে হয় এই যে, তারা ক্রমে শিক্ষকদের পড়ানোর প্রেরণা হতে বঞ্চিত হচ্ছে।’
ইবরাহীম খাঁর রচনার বড় বৈশিষ্ট্য সহজবোধ্যতা। গণমানুষের উপযোগী সাহিত্যের রচনাশৈলী সম্পর্কে তার মন্তব্য- “ভাষায়, ব্যাকরণে, চিন্তা প্রকাশে আমি ভারিক্কীতাবিরোধী। সরলতা আমার অন্যতম ধর্ম। ঘরে কলস ভরা পানি, আর বারান্দায় পড়ে নিরীহ পুত্র ভারিক্কীতা পরিশুদ্ধ ভাষায়। ‘বারি’ ‘বারি’ চিৎকার করে মরবে, আমি এ ব্যবস্থায় রাজি নই।” আর্টপৌরে গ্রামীণ ভাষায়, আঞ্চলিক বানং রীতিতে সাধারণ মানুষের মুখনিঃসৃত বাক্যালঙ্কারে তাদের সহজ সরল জীবন ও বোধবিশ্বাসকে সহজ উপলব্ধির উপযোগী করে প্রকাশ করা ইবরাহীম খাঁর আরেক বৈশিষ্ট্য। তার লেখায় একাডেমিক ভাষার পরিবর্তে ঘরোয়া রীতি, মজলিশী ঢং, চলতি আরবি, ফারসি মিশ্রিত ভাষা, ক্রিয়াপদে ও সর্বনামে আঞ্চলিক বুলির ব্যবহার, সকৌতুক পরিভাষা প্রয়োগ (যেমন ঐবধফ ঊীধসরহবৎ-কে করেছেন মাথা পরীক্ষক) লক্ষ্য করা যায়। নিজের নামের বানানেও তিনি স্থির থাকেননি কখনো লিখেছেন- এব্রাহিম, এব্রাহীম, ইব্রাহিম, ইব্রাহীম এবং ইবরাহীম। জীবনের শেষ পর্যায়ে ‘ইবরাহীম খাঁ’ লেখার পক্ষপাতী ছিলেন।
তিনি বোধকরি কবিতা ছাড়া আর সব কিছুই লিখেছেন। গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ, শিশু সাহিত্য, প্রবন্ধ, পত্র সাহিত্য, আত্মজীবনী কোনো কিছুই বাদ যায়নি। এসব রচনায় তার জীবন ও জগৎ সম্পর্কে চিন্তা-চেতনা, সমাজ সংস্কার, শিক্ষাবিস্তার, সমাজকল্যাণ, সামাজিক নবজাগৃতিক প্রেরণা ও কর্ম প্রচেষ্টার পরিচয় বিবৃত হয়েছে। তার নাট্য সাহিত্যেও সমাজ ভাবনার উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। ছোট গল্পগুলো তো সামাজিক চিত্র ও চরিত্র সৃষ্টিতে অপূর্ব সৃষ্টি। মূলত স্বদেশ এবং সমাজনির্ভরতা ইবরাহীম খাঁর কথাসাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, মুসলমান সমাজের পুনর্জাগরণ তার সাহিত্য সাধনার প্রধান উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য সাধনে তিনি ‘ইসলামের মর্মকথা’ আসলে কি সেটি জানানোর জন্য মুক্তবুদ্ধি, গোঁড়ামি রহিত, স্বচ্ছ জ্ঞানের আলোতে কিছু প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধগুলোতে তিনি তুলে ধরেছেন শাশ্বত শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী। তিনি লিখেছেন- ‘ইসলাম ফিতরতের ধর্ম। ... ইসলামের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বাণী আল্লাহ এক। তাঁর কোনো শরিক নেই। মাতা-পিতা, পুত্র-কন্যা, স্ত্রী কিছুই নেই। ... এরই নাম ইসলামের তৌহিদ। ... তৌহিদের অন্যতম ফল সাম্য। সবাই এক আল্লাহর সৃষ্টি। কাজেই সবাই সমান। ... ইসলাম বলে নিখিলবিশ্ব একই আল্লাহর একই হাতে একই উদ্দেশ্যে তৈরি- বিশ্বের সমস্ত বস্তু একই সৃষ্টির মোহন মালার বিভিন্ন ফুল। ... এই মহান ঐক্যের যে অভিসারী, আল্লাহর কাছে আত্মসম্পন্ন তার পক্ষে হয় সহজ। ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন’- তাঁরই কাছ থেকে সব আসে, আবার তাঁরই কাছে সব ফিরে যায়। এই জন্যই ইসলামের অপর মানে- আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ। কেবল পূর্ব দিকে বা পশ্চিম দিকে মাথানত করলে কোনো লাভ নেই। যদি না তার পশ্চাতে থাকে উপাসনা উন্মুখ সত্য সরল মন। সর্বপ্রকার সংস্কারের মোহমুক্ত তত্ত্বান্বেষী জ্ঞানোজ্জ্বল মন- এই ইসলামের কাম্য। ... ইসলাম উপাসনা গৃহের দুয়ারে চিরমুক্ত করে দিয়েছে। ... অদৃষ্টের গোলামি হতে ইসলাম মানুষের মুক্তি ঘোষণা করেছে। ইসলাম জীবনের ধর্ম, সাধনার ধর্ম, কর্মের ধর্ম। কর্ম দ্বারা বিকশিত হবে তার বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব এবং সে ব্যক্তিত্ব প্রসূত শক্তি বলে মানুষ গড়ে নেবে নিজ অদৃষ্ট। ... পুরুষের দাসত্বের নিগড় হতে ইসলাম নারীর মুক্তি ঘোষণা করেছে। ... পুরুষের মতো নারীও পেল ধর্মের অধিকার, কর্মের অধিকার, বিদ্যার্জনের অধিকার, মাতা-পিতা-স্বামী-ভাই-বোনের সম্পত্তিতে অধিকার, বিবাহে সম্মতি দেওয়া বা না দেওয়ার অধিকার, অবাঞ্ছিত বিবাহ বন্ধন ছেদন করার অধিকার। ... ইসলাম স্বামীকে আরো বলে দিল, ‘মনে রেখো, সেই-ই শ্রেষ্ঠ মুসলমান যে তার স্ত্রীর বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ। নারীর মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য এমনি করে সন্তানের বেহেস্তের স্থান ইসলাম নির্দেশ করে দিল মায়ের পায়ের তলে। ... ইসলামের মতে, ধর্মগত পাপ হিসেবে নাস্তিকের নিচেই দরিদ্রের স্থান। দরিদ্রের ঘরে জন্মগ্রহণ পাপ নয়, কিন্তু সুস্থদেহী প্রাপ্ত বয়স্কের পক্ষে অকারণে অভাবগ্রস্ত থাকা পাপ।
পরধর্ম ও পরধর্মীর প্রতি ইসলামের মনোভাব নিতান্ত উদার। ‘লা ইকরাহা ফিদ্দীন’- ধর্মে জোর-জুলুম নেই। ... ইসলাম সকল ধর্মের পয়গম্বরকেই পরম শ্রদ্ধার চোখে দেখে। ইসলাম বিশ্বাস করে, মানব-সমাজের পথ প্রদর্শনের জন্য সর্বদেশে সর্বজাতিতে যুগে যুগে মহাপুরুষের আবির্ভাব হয়েছে।
ইসলামের মর্মকথার ভূমিকায় তিনি প্রশ্ন রেখেছেন। যাদের আল্লাহ বড় রাসূল বড় যাদের দ্বীন বড় উম্মত বড় তারা এ দুনিয়ায় ছোট থাকবে কেন? ছোট তো সত্যি তারা ছিল না। ... তার মনে আরো প্রশ্ন জেগেছে- তবে কি আমাদের বর্তমান অনুসৃত ইসলাম আর সে আমলের ইসলাম এক নয়?
‘বাতায়ন’ স্মৃতিকথা-আত্ম জৈবনিক রচনা। এখানে তিনি তার সময় কালের হুবহু চিত্র বর্ণনা করেছেন- কোন বিষয়ে লেখেননি- সেটাই গবেষণার বিষয়। সাহিত্য সমালোচক আব্দুল মান্নান সৈয়দ ‘বাতায়ন’ কে বিবেচনা করেছেন, ‘খোলা সচেতন সংস্কার-মুক্ত নিজস্ব দৃষ্টি, সরল সরস কৌতুকোজ্জ্বল মন, সহজ রসাদ্র ক্ষমাশীল অস্তিত্ববাদী লিখন ভঙ্গিমা- সব মিলিয়ে সঙ্কীর্ণ বাঙালি-মুসলমান প্রায়ান্ধকার সমাজ কক্ষের একটি রৌদ্রদীপ্ত জানালা।’
শিক্ষা, সাহিত্য, সমাজসেবা ও রাজনীতিতে বিশেষ অবদান রাখলেও তিনি সামাজিক পরিচিত প্রিন্সিপাল ‘ইব্রাহীম খাঁ’ হিসেবে। টাঙ্গাইল জেলার শাবাজনগরে জন্ম ১৮৯৪ সালে এবং মৃত্যুবরণ করেন ঢাকায়- ২৯.০৩.১৯৭৮ সালে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।