Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের প্রতিরক্ষায় বিপুল বরাদ্দ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চীনের জাতীয় পরিষদ ও শীর্ষ রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের বার্ষিক সভা বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে। চলতি বছর দেশটির জাতীয় পরিষদ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ক্ষমতা অনেকখানি বাড়াবে এ ধারণার মধ্যেই এই দুই অধিবেশনকে রাজনৈতিক অঙ্গনে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চীনা প্রেসিডেন্টদের দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে না পারার বিধানটি তুলে দিতে জাতীয় পরিষদে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদিত হবে বলেও খবর বিবিসির। এর মাধ্যমে শি জিনপিং আজীবন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে; যিনি ‘শি জিনপিংয়ের চিন্তা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তার নতুন মতাদর্শ অনুযায়ী চীনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিনোদন জগত, ক্রীড়া, বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিসহ শীর্ষ রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ সিপিপিসিসির বর্তমান সদস্য দুই হাজার ১৫৮ জন। শনিবার এ পরিষদের সভা শুরু হয়। এনপিসির সভা শুরু হয়েছে সোমবার। ঐতিহ্য অনুযায়ী উভয় পর্ষদের এই ‘দুই অধিবেশন’ এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। চীনের জাতীয় পরিষদ, ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসই (এনপিসি) দেশটির পার্লামেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এটিই রাষ্ট্রটির সবচেয়ে শক্তিশালী অঙ্গ। এদিকে, চীন এ বছর ১১ হাজার ১শ’ কোটি ইউয়ানের (১৭ হাজার ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার) প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করেছে। গত বছরের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে এবারের অর্থ বরাদ্দ বাড়ল ৮ দশমিক ১ শতাংশ। তিন বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষায় এটিই চীনের সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ। ২০১৬ সালের প্রতিরক্ষা খাতে চীন ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়েছিল। ২০১৭ সালে বাড়ানো হয় মাত্র ৭ শতাংশ। সেখানে এবার এক লাফেই বরাদ্দ বাড়ানো হল ৮ দশমিক ১ শতাংশ। গত সোমবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী লি খাখিয়াং নতুন প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করেছেন। তাছাড়া, এবছর অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাও ৬ দশমিক ৫ শতংশ নির্ধারণ করেছেন তিনি। পার্লামেন্টের উদ্বোধনী ভাষণে লি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তনের জন্য সেনাবাহিনীকে পাথরের মত শক্তশালী করতেই এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। দেশটির সরকার তাদের এবারের বাজেট তিনটি প্রধান লক্ষ্য মাথায় রেখেই ঘোষণা করেছে। এগুলো হলো, অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবেলা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরা এবং দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখা। চীন সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন অব্যাহত রেখেছে। একটি বিমানবাহী রণতরী চীন তৈরি করেছে। আরো দু’টি তৈরি হচ্ছে। চিনা নৌবাহিনীতে রণতরীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ