Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কয়রার দক্ষিণ বেদকাশীর মাটিয়া বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে

মোস্তফা শফিক, কয়রা (খুলনা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:১৬ পিএম, ৫ মার্চ, ২০১৮

ভাঙন কবলিত এলাকা মাটিয়া ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে। অবিলম্বে মাটির কাজ না করা হলে ১৩ গ্রাম লোনা পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী কপোতাক্ষ ও আড়পাঙ্গাসিয়া নদীর ত্রি-মোহনা এলাকা জুড়ে রয়েছে বেড়িবাঁধ ভাঙনের হিড়িক। মাটি না থাকায় লোকালয়ের মানুষও চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছে। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেছে ঐ এলাকার শত শত বসতিরা।
সম্প্রতি দেখা গেছে ১৩-১৪/২ ও ১৪/১ এ দুটি পোল্ডারে নোনা পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে সুকৌশলে কিছু ঘের মালিকরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় রাতের আধারে বোরিং (ছিদ্র) করে বেড়িবাঁধের নিচ দিয়ে পাইপ বসিয়ে লোকালয়ে টিংড়ি চাষ করায় বেড়িবাধের ভাঙনের সৃষ্টি হয়। ফলে যেখানে পাইপ সেখানেই ভাঙন সৃষ্টির ফলে গোটা পোল্ডারে দক্ষিণ বেদকাশীর মাটিয়া ভাঙা এলাকার বেড়িবাধটি অকেজো হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ঐ এলাকার ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন- বহুবার সেকশন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মৌখিক আ লিখিত আবেদন করা হলেও আজও পর্যন্ত কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। তিনি বলেন, এ পোল্ডারের এসও সাহেবরা কখন আসেন- আবার কখন চলে যান বোঝায়া মুশকিল। তবে শিঘ্রই কাজ হবে বলে তিনি জানান। তবে এ পোল্ডারের পাউবোর সেকশন কর্মকর্তা জানান, আমরা পতিবেদন পাঠিয়েছি। বরাদ্দ না থাকায় স্থানীয় ভাবে বাধ সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সাতক্ষীরা-২ এ সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আ.খ.ম তমিজ উদ্দীন বলেন শুধু মাটিয়া ভাঙ্গা নয়- কয়রার দুটি পোল্ডারই হুমকির মুখে। বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই ভাঙন কবলিত এলাকায় মাটির কাজ না করা হলে আবারও সিডর ও আইলার মত হাজার হাজার মানুষ ও শত শত ঘরবাড়িসহ ২ শতাধিক চিংড়ি ঘের নোনা পানিতে ডুবে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেকছি বলে মন্তব্য করেন। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি কবি শামছুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের শতাধিক বসতি এখনও ভিটা ছাড়া হয়ে রয়েছে। আশ্রয়স্থল হিসাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাধের উপরে বসবাস করছে, কিন্তু তাদের আজও কোন স্থায়ী বসতি ব্যবস্থা করা হয়নি। ঐ ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাসেবক গাজী রেজওয়ানুল করিম এ সংবাদদাতাকে বলেন- বর্ষা মৌসুমের পুর্বে যদি দক্ষিন বেদকাশী পোল্ডারের বেড়িবাধগুলিতে মাটির কাজ করা না হয় তাহলে আবারও এই এলাকার মানুষ ডুবে মরবে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টিমের সরোজমিনে পরিদর্শন পূর্বক ভাঙন কবলিত এলাকা মাটির কাজ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



 

Show all comments
  • RAKIB ১৬ এপ্রিল, ২০১৮, ৮:৩২ এএম says : 0
    AI MATI-BALUR BAD KI VABE TIKE ?? ETA SIMPLE COMMONSENSE !! ER PORE O PROTIBOSOR HAJAR HAJAR KHUTHI TAKA KHOROCH KORE OI MATI-BALUR BAD E DEWA HOY !! MAJE MAJE WPORE ABAR BLOCK BOSHANO HOY !! KINTU MATI-BALU TO PANITE DUIE JAY !! SHETA OI DURNITI-BAJJJ PANIWNNOON BORD ER MATHAY GELE NA (EVEN GOVERMENTER ) BLOK NA BOSHIE EVEM 5"CHOWRA 3 MITTERS LONG 2 MITERS HIGH 1 MITER MATIR NICHE, AKTU TESRA KORE KONGCRITE WALL DILE 20 BOSOR E KISU HOTO NA
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হুমকি

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ