নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : গত কয়েক বছর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে বইছিল সুখের হাওয়া। হঠাৎ এক ঝটকায় তা বিলিন। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর উঠেছে অনেক প্রশ্ন। তবে তামিম ইকবাল মনে করেন সব কালো মেঘ সরাতে তাদের দরকার আসলে একটা জয়। সব সংস্করণে হারলেও ড্যাশিং এই ওপেনারের মতে গত সিরিজটা খুব একটা খারাপ খেলননি তারা। শুরুটা ছিল দারুণ। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হারান খেই। প্রথম টেস্টেও গেছে ভালো। কিন্তু বাকিটা যাচ্ছে তাই। এরমধ্যে নাকি পুরো সিরিজে বাংলাদেশকে তাড়া করেছে অজানা আতঙ্ক।
নিদহাস কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কায়। ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে আজ। তবে বাংলাদেশের প্রথম খেলা ৮ মার্চ, এই ভারতের বিপক্ষেই। গতকাল বেশ কিছুক্ষণ কলম্বোর পি সারা ওভালে অনুশীলনও করেছে ওয়ালশের শিষ্যরা। ভঙ্গুর দশা থেকে সব শুধরে নিজেদের বিশ্বাসের কথা জানালেন তামিম, ‘আমি বিশ্বাস করি, দলের সবাই বিশ্বাস করে যে এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে আমরা মাত্র একটা ম্যাচ দূরে আছি।’
মনমরা অবস্থায় নিদহাস কাপ খেলতে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ঘরের মাঠে সর্বশেষ সিরিজ নিয়ে টাইগার ওপেনার জানান, ‘আমরা গত সিরিজটা খুব খারাপ খেলিনি। আমরা ফাইনালে উঠেছি এবং যেভাবে উঠেছি। বিশেষ করে প্রথম তিন ম্যাচ। এবং পরে প্রথম টেস্টও। আপনি একটা সিরিজে বেসিক্যালি বলতে গেলে দুইটা টি-টোয়েন্টি, একটা টেস্ট আর ফাইনাল খারাপ খেলেছি। এটা হতে পারে। সেরা দলগুলোর সাথেও হতে পারে।’
কেন এই পা হড়কানো। কেন দিশেহারা বাংলাদেশ। দুঃসময়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অজানা আতঙ্ক খুঁজে পাচ্ছেন তামিম, ‘আমরা কিন্তু আতঙ্কিত হয়েছি। এর থেকে বেরুতে হবে। যখন কিছু ব্যাপার আমাদের পক্ষে যাচ্ছে না আমরা আতঙ্কিত হতে থাকি। আমার মনে হয় এটা না করে আমাদের বেসিক জায়গায় ফেরত যেতে হবে।’
প্রধান কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দায়িত্ব ছাড়ার পরের সিরিজেই হয়ে যান প্রতিপক্ষ। শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসা হাথুরুসিংহে টাইগারদের অন্দরমহলের সব খবর জানতেন। সব মিলিয়ে এই জায়গাটাও নেতিবাচক হয়েছে বলে মত তামিমের, ‘হাথুরুর ব্যাপারে যেটা বলছি, সে আমাদের জন্য দারুণ কাজ করেছে। সে খুবই ভালো কোচ। সে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছু করেছে। কিন্তু সে এখন আমাদের সাথে নাই। অন্য দলে আছে। সেখানে তার কাজ করছে। বারেবারে ওর কথা তুলে নিয়ে আসা, ওর কথা তোলা মনে হয় না আমাদের জন্য ভালো কিছু আনবে। এখানেও প্যানিকটা করেছি, ও চলে গেল... ও চলে যাওয়াতে সব শেষ হয়ে গেছে তা না।’
বাংলাদেশ কোথায় আতঙ্কিত হয়? খেলার মাঠে নাকি ড্রেসিং রুমেও? তামিম জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ আতঙ্কিত হয় সব খানেই, ‘সবখানে ভাই। সবখানে আমরা প্যানিকড করা শুরু করি। একটা সিরিজ আমাদের মনের মত হয়নি। মনে হয় যেন সবাই আমরা প্যানিকড করছি।’
তবে ভালো মন্দ মিলিয়েই যেমন জীবন, তামিম ইকবাল মনে করেন ক্রিকেটের মুন্সিয়ানাও নাকি সেই চক্রেই ঘুরে, ‘একটা দলের উঠা-নামা থাকবে। যখন উঠার ব্যাপার থাকে খুব ভালভাবে আমরা মেনে নেই। নেমে আসা আমাদের মেনে নিতে হবে। এটাও কিন্তু একটা সত্যি কথা। আর যে জিনিসটা বারেবারে বলছি আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। এই জিনিসটাই মনে রাখতে হবে। ওই সময়টাও আসবে যখন আমরা খুব ভালো খেলব, আবার খুব খারাপ খেলব। এভাবেই চক্রটা ঘুরতে থাকবে।’
টুর্নামেন্টে নিজেদের আন্ডারডগ রেখে ভারতকেই ফেভারিট মানছেন তামিম। তবে টি-টোয়েন্টিতে একটা ম্যাচেই সব বদলে যাওয়ার আশাও তার ‘ফেভারিট যদি বলতে হয় অবশ্যই ইন্ডিয়া। তারা দারুণ ফর্মে আছে। তবে এই ফরম্যাটেই এত ইন্টারেস্টিং খেলা যে একটা ম্যাচের উপর ডিপেন্ড করেই কিন্তু পুরোটা বদলে যেতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।