রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বানারীপাড়া (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা : বানারীপাড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র হলো বানারীপাড়া বন্দর বাজার। বছরে কোটি টাকার উপরে সরকারের আয় থাকলেও বাজার ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি দেখার নেই কেউ। বাজারে হাজারও দোকান থাকলেও সুপেয় পানির জন্য টিউবওয়েল রয়েছে মাত্র চারটি। যা প্রায়ই থাকে অচল। সম্প্রতি বাজারে পানি সাপ্লাই লাইন টানা হলেও তা চালু হবে কবে নাগাদ কেউ জানেনা। বাজারে কর্মচারী থাকলে ও শৌচাগার ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র দুইটি। যার একটি সর্বদাই অচল। যাও একটি চলছে তা অস্বাস্থ্যকর ও পুরনো এ ছাড়াও প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে সেখানেও দিতে হয় দীর্ঘ লাইন যা বাজার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের জন্য খুবই যন্ত্রনাদায়ক। যে কোনো বাজার জমে ওঠার উপর নির্ভর করে তার পরিবহন ব্যবস্থার উপর যদিও, বানারীপাড়া বাজার নদীকেন্দ্রীক। বন্দর বাজারের মূল পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা হল নদীকেন্দ্রীক। নদীতে বিপুল জায়গা জুড়ে চর জেগে ওঠায় ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনে নির্ভরশীল হতে হয় জোয়ার-ভাটার উপর। যার ফলে সঠিক সময় তারা পণ্য পৌঁছাতে পারছেন না। এ জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়াও স্থলপথে আশপাশের অঞ্চলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা থাকলেও সে পথকেও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ বানারীপাড়া বন্দর বাজার সংলগ্ন যখন আলফা স্ট্যান্ড ছিল তখন আশপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পণ্য ক্রয় করত এবং অল্প খরচে পণ্য পরিবহন করত। তবে এখন আলফা স্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করায় পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় আশে পাশের ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বানারীপাড়া বন্দর বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বানারীপাড়া বন্দর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, নদীতে চর জেগে ওঠায় ও আলফা স্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করায় তারা প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হারিয়েছেন শুধু পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার কারণে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। তারা প্রায় সবাই কিস্তি নিয়ে বেঁচে আছেন। তাদের ফুটপাথ ব্যবহার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেনম তারা একরকম বাধ্য হয়েই ফুটপাথ ব্যবহার করেন ভোক্তাদের জন্য। কারণ ভোক্তারা পরখ না করে মালামাল ক্রয় করতে চান না। এ ছাড়াও কিছু রাস্তা সরু থাকায় তাদেরও সমস্যার সৃষ্টি হয় ফলে তারা গোডাউন থেকেই মালামাল ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। তবে কিছু ফুটপাথ দোকানি বলেছেন, তারা সরকারকে চড়া খাজনা দিয়ে ফুটপাতে বসেন এবং সন্ধ্যার সাথে সাথে তারা তা গুটিয়ে নেন। তারা আরো বলেন, তাদের জন্য ফুটপাথ মার্কেট হলে তারা আর ফুটপাথে বসবেন না। বানাড়ীপাড়া ঐতিহ্যবাহী বন্দর বাজার ধীরে ধীরে তার জৌলুশ হারাচ্ছে। ইতোমধ্যে হারিয়েছে তাদের ধান চালের কটিয়াল ব্যবসা। তবে অতিসত্তার যদি নদী শাষণ বা নদীর কাছাকাছি রাস্তা নির্মাণ করা না হয় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানো যায় তবে এই ঐতিহ্যবাহী বাজারের যেটুকু ঐতিহ্যে রয়েছে, তাও বিলীন হয়ে যাবে। তাই দ্রুত সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নতুন শৌচাগার নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সাপ্লাই পানির লাইনসহ অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা সংযুক্ত করে বানাড়ীপাড়া বন্দর বাজারের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।