পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক লিসা কার্টিসের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল (রোববার) গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের বাসভবনে যান বিএনপি মহাসচিব। সেখানে লিসা কার্টিসের সঙ্গে তিনি প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ছিলেন। বৈঠকের পর বিএনপি নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তবে বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় লিসা কার্টিসকে অবহিত করেন। বিশেষ করে জাল ও ভূয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদÐ দেয়া, জরাজীর্ণ ও পতিত একটি ভবনে তাকে সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত করা, মামলার আইনি কার্যক্রমেও সরকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও প্রভাব বিস্তারের বিষয় তুলে দেয়া হয়। মামলার বিষয়ে বিএনপির কথার সত্যতার জন্য তার হাতে তুলে দেয়া হয় মামলার যাবতীয় ডকুমেন্টসও। এছাড়া আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের ষড়যন্ত্র, বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিএনপিকে ছাড়া ৫ জানুয়ারির মতো আবারও নির্বাচনের কূটকৌশলের বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিকে অবহিত করা হয়। বিএনপির বিরুদ্ধে লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, কারণে-অকারণে দেশজুড়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার, গ্রেফতারের পরে রিমান্ডের নামে নির্যাতনের কথাও জানানো হয় বলে জানা যায়। বিএনপির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগের আগাম নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে তুলে ধরা হয় এবং বিএনপিকে ঘরের ভেতরেও কোন সভা করতে না দেয়া, সভা-সমাবেশ করতে গেলে পুলিশের হামলাসহ সার্বিক বিষয়ের তথ্য-চিত্রও দেখানো হয়। মার্কিন ওই প্রতিনিধি বিএনপি নেতাদের সব কথা মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং নোট নিয়েছেন। সূত্র জানায়, লিসা কার্টিস জানান যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ দেখতে চায়।
গত কিছুদিন ধরেই বিএনপি তাদের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে নিয়মিতই বৈঠক করছেন দলের সিনিয়র নেতারা। এসব বৈঠকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিরোধী দলের ওপর সরকারের দমন-নির্যাতন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে প্রেরণ এবং পরবর্তী পরিস্থিতিও তাদেরকে একাধিকবার অবহিত করেছে দলটি। এরই মধ্যে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে গত শুক্রবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক লিসা কার্টিস। একই সাথে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা। বাংলাদেশ সফরে এসে তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। তবে বিএনপির সাথে তার এই বৈঠককে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।