Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

হুমকির মুখে গ্রামসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি

তুলশিগঙ্গা বাঁধে খানাখন্দ

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

জয়পুরহাট থেকে মুহাম্মদ আবু মুসা : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ও তুলশিগঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বন্যায় ফসল রক্ষার জন্য তুলশিগঙ্গা নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। তুলশিগঙ্গা নদীতে নির্মিত বাঁধে ভাদ্র মাসের ভয়াবহ বন্যায় বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। এ সব গর্ত আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কার করা না হলে ওই এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামসহ বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ হুমকির মুখে রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তুলশিগঙ্গা ও মামুদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তুলশিগঙ্গা নদীর দুই পাশের মাঠের ফসল রক্ষার্থে ১৯৯২ সালে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর কয়েক দফায় বাঁধ সংস্কার করা হলেও গত বছরের ভাদ্র মাসের ভয়াবহ বন্যায় বাধের দুই পাশে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া মাটির ক্ষয়রোধে বাঁধের উপর নানান প্রজাতির গাছ থাকলেও বন্যার পানিতে কোথাও কোথাও কিছু গাছের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে সেখানেও গর্তের সৃষ্টি হয়। বর্তমান এ সব গর্ত ও খানাখন্দে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার করা না হলে বাঁধের দুই পাশে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামসহ বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাঁধের দুই পাশের বসবাসকারী ও স্থানীয় কৃষকরা।
বাঁধের পাশে বসবাসকারী উপজেলার আমিরা গ্রামের কৃষক দোলোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তুলশিগঙ্গা নদীর দুই পাশে ফসল রক্ষা ও বন্যার অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন এবং ধারণ করার জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সংস্কার না করায় ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুম শুরুতে বাঁধটি পূর্ণ সংস্কার করা হলে না বাঁধটি ধসে আশপাশের গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়াসহ ফসলের মাঠ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম সাথে কথা হলে তারা বলেন, বাঁধের আশপাশে দুই ইউনিয়নের বসবাসকারী জনসাধারণ এবং কৃষি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে বাঁধটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙন ও খানাখন্দ আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে পুনঃসংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আশা করি, বাঁধ সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হুমকি

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ