Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধামরাইয়ে পিতার খুনের ঘটনায় ছেলে কারাগারে

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার ধামরাইয়ে বিদেশ ফেরত তিন সন্তানের পিতা ব্যবসায়ী হাজী জিন্নত আলী ও তার স্ত্রীকে নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে রাতে মাথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় কে বা কারা। হাসপাতালে ৫দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই ব্যবসায়ী মারা যান। এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।  মামলা দায়ের করা হলে থানা পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর নিহতের একমাত্র ছেলে আবু বক্করকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। সেইসাথে ৩ দিনের রিমান্ডে এতে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের পাইচাইল(পাচাল) গ্রামের জিন্নত আলী দীর্ঘদিন বিদেশে থাকতেন। বাড়িতে ছিল তার  স্ত্রী, ২ মেয়ে ও ১ ছেলে। বিদেশ থেকে আসার পর ভালই কাটছিল পারিবারিক জীবন। গ্রামের মধ্যে সম্পদশালী  ছিল বেশ। দুই মেয়ের বিয়ে হলেও একমাত্র ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (২৩) বিয়ে করেনি। সুন্দরী পাত্রী দেখে তাকে ধুমধাম করে বিয়ে করাবে এ প্রত্যাশা ছিল পরিবারের সবার। এরমধ্যে ছেলে আবু বক্কর অন্যত্র বিবাহিত ও এক সন্তানের জননীকে ভালোবেসে বিয়েও করে। বাড়ির লোকজন বধূ হিসেবে ওই মেয়েকে নামতে নারাজ। ছেলেও তার ভালবাসার স্ত্রীকে ছাড়তে নারাজ। এনিয়ে প্রায়ই ছেলেকে বউ ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে ছেলেকে তার বউকে ছেড়ে না দেয়ার আত্বীয় স্বজন ডেকে এনে তাকে মারধরও করে। এরমধ্যে হাজী জিন্নত আলী (৫৫) ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪৮)কে ৩১ জানুয়ারী বুধবার রাতে নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে কে বা কারা পিটিয়ে এবং মাথার মধ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরের দিন সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ির লোকজনের কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে এগিয়ে আসে। পরে দেখতে পায় তারা দুজনই রক্তাক্ত অবস্থায় কক্ষের মধ্যে পড়ে আছেন। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৫দিন পর হাজী জিন্নত আলী মারা যান।
এঘটনায় ধামরাই থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেয়। ওইসময় স্ত্রী রাশেদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকলে বর্তমানে কিছুটা সুস্থ্য রয়েছেন। ওইরাতে কি ঘটেছিল স্ত্রী রাশেদা বেগম তা বর্ণনা দিতে পারছে না। তিনি মুখ খুললেই হত্যাকার প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারাগার

৭ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ