বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719362271](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশসহ ২২টি দেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণ গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে আগামীকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। যা আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত চলবে। এতে ১ হাজার ৩শ’র বেশি সেনা সদস্য ও কর্মকর্তা অংশ নেবেন। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন-বিপসটের প্রধান প্রশিক্ষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল আহমদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) পরিচালক লেফঃ কর্নেল মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কর্মকর্তা মেজর ক্যাসেঞ্জ জেসিকি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল আহমদ বলেন, রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংয়ের (বিপসট) এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। ‘অনুশীলন শান্তিদূত-৪’ নামে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাস্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ড। এতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে অপারেশনস ইনশিয়েটিভ (জিপিওআই)। এর আগে বাংলাদেশে ২০০২, ২০০৮ এবং ২০১২ সালে এ ধরনের প্রশিক্ষণ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ৪১টি দেশকে আমন্ত্রণ জানালেও শেষ পর্যন্ত ২২টি দেশ অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভেনিয়া, কম্বোডিয়া, কানাডা,ফিজি, ঘানা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, কিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, পেরু, ফিলিপাইন, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সিয়েরালিওন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল আহমদ বলেন, এ প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহন করার জন্য মায়ানমার ও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রন জানানো হয়। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা অংশ গ্রহন করবেন না। তবে তাদের প্রতিনিধি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, শান্তিদূত শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘শান্তির বার্তাবাহক’। অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পেশাগত ও কারিগরী দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ইউনিট পর্যায়ে অত্যাবশ্যক কর্মকান্ডের উপর সার্বিক প্রশিক্ষণ প্রদান এ অনুশীলনের উদ্দেশ্য। উলে¬খ্য যে, এই অনুশীলনটি ইউ এস প্যাসিফিক কমান্ড দ্বারা পরিচালিত মাল্টি ন্যাশনাল পিস কিপিং ইভেন্ট (এমপিই) যা প্রতিবছর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত হচ্ছে। ইউএনমিশন এলাকায় গমনপূর্ব প্রশিক্ষন, পারস্পরিক যোগাযোগ ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মূলবিষয় গুলোর উপর ধারনা প্রদান এ অনুশীলনের অন্যতম বিষয়বস্তু। অনুশীলন শান্তিদূত-৪ এর মাধ্যমে অংশগ্রহনকারী দেশসমূহের মধ্যে আঞ্চলিক বন্ধন, নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দক্ষতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। ফিল্ড ট্রেনিংইভেন্ট প্রশিক্ষনে বিভিন্ন ধরনের লেইন ট্রেনিং এর পাশাপাশি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাস্তবধর্মী পরিস্থিতির আলোকে প্রশিক্ষন প্রদান করা হবে। উক্ত প্রশিক্ষন কার্যক্রম অবলোকন করার জন্য ইউএন ও আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা সার্বক্ষনিকভাবে উপস্থিত থাকবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহনকারী শীর্ষদেশ সমূহের মধ্যে অন্যতম। বিপসট এর মাধ্যমে প্রদানকৃত উন্নত প্রশিক্ষন শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ভূমিকা পালনে অন্যতম সহায়ক বলে প্রতীয়মান হয়। অনুশীলন শান্তিদূত-৪ এর মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের গ্রহণযোগ্যতা অনেক গুন বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা যায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। দু’সপ্তাহ একটানা চলার পর আগামী ১২ মার্চ উক্ত অনুশীলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষনা করবেন প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।