Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরিশাল শেবাচিমে ২১৫ কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগদানের অনুমতি

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বরিশাল ব্যুরো : আইনী জটিলতা কাটিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশে দুই বছর পর কাজে যোগদানের অনুমতি মিললো বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২১৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের পক্ষে পরিচালকÑপ্রশাসন ডা. এবিএম মুজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে যোগদানের জন্য হাসপাতাল পরিচালককে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। নির্দেশনার কপি মেইল বার্তায় প্রেরনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্বস্তি মেলে নিয়োগপ্রাপ্ত ২১৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের পরিবার পরিজনদের মাঝে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রেরিত এইচ,এস/এল,এ-৪৩/১৬/৮৫৬ স্মারকে উলে¬খ করা হয় মন্ত্রণালয়ের গত ২০১৬-এর ২০ জানুয়ারীর ৬০ নং স্বারকে ২২৬ জন কর্মচারীর নিয়োগপত্রের কার্যকারিতা স্থগিত সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১৩৬৩/১৬ নং রীট মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় হাইকোর্ট আবেদনকারীদের পক্ষে ২০১৬-এর ২২ আগষ্ট রায় প্রদান করেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে আপীল দায়ের করা হলে ২০১৭-এর ৪ অক্টোবর আপীল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপীল খারিজ করেন। তাই এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কৃর্তক প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে রায়টি বিধিমতে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অনুরোধ করা হয়।
জানাগেছে, ২০১৫ সালের ১ থেকে ১২ ডিসেম্বর বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাপকম/প্রশা-১/এডি/১সি-১৩/২০১১/৭৯২ তারিখ ২৭/০৪/১৫ ইং ও স্বাপকম/প্রশা-১/এডি/১সি-১৩/২০১১/১৮৬৬ তারিখ ১২/১১/১৫ ইং স্মারকের আদেশ অনুযায়ী ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর বিভিন্ন পদে ২১৫ জন কর্মচারী যোগদান করেন। দীর্ঘ দিন শূন্য থাকা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মচারী পদে নতুন কর্মচারী যোগদান করায় হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব স্বাক্ষরিত ৪৫.১৪৩.০২৭.০০.০০১.২০৫-৬০ নম্বর স্মারকের আদেশে যোগদানকৃত কর্মচারীদের কার্যক্রম ও বেতন-ভাতা না প্রদানের স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে কর্মচারীরা ওই বছরের ১৪ ফেব্রæয়ারী হাই কোর্টে রীট দাখিল করলে উচ্চাদালত ওই আদেশ স্থগিতসহ কর্মচারীদের কাজে যোগদান ও বেতন-ভাতাদি প্রদানের নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয় ওই আদেশ বাতিল চেয়ে আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করলে আদালত হাইকোর্টের ৮ নম্বর বেঞ্চে রিট শুনানীর জন্য প্রেরণ করেন। সেখানে ২০১৬ সালের ২২ আগষ্ট ফের কর্মচারীদের পক্ষে রায় প্রদান করা হয়। আর ওই রায়ের বিরুদ্ধেও সরকার আপিল করলে তাও খারিজ করে দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ৬ ফেব্রæয়ারী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার উপ-সচিব আবদুল ওহাব খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের চিঠি প্রেরন করেন। ওই চিঠি পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের পরিচালককে কর্মচারীদের পক্ষে রায়ের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করা হয়। ফলে দীর্ঘ দুই বছর পর স্বস্তি ফিরেছে নিয়োগপ্রাপ্ত ২১৫ কর্মচারী ও তাদের পরিবারের মধ্যে। গতকাল (শনিবার) হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল জলিল হাতে করে অধিদপ্তরের আদেশটি বরিশালে নিয়ে আসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরিশাল

২৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ