Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আফগান অংশে ভারতমুখী গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ কাজ শুরু

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি সংকট নিরসনে আন্তঃদেশীয় গ্যাস সংযোগ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে ভারতমুখী গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তুর্কমেনিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত এ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করে। আন্তঃদেশীয় এ গ্যাস সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি, তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বার্দিমুখামেদভ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমজে আকবর। আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী গ্যাসসমৃদ্ধ তুর্কমেনিস্তানের সারখেতাবাতে উপস্থিত ছিলেন চার দেশের নেতারা। এছাড়া বিভিন্ন বিদেশী দূতাবাসের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে আগতদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। এছাড়া দেশটির ঐতিহ্যবাহী যাযাবরের তাঁবু টাঙিয়ে সেখানে খাবার পরিবেশন করা হয়। একসময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের সবচেয়ে দক্ষিণের অংশ হিসেবে পরিচিত সারখেতাবাত এলাকায় দিনব্যাপী এ উদযাপন চলে। আন্তঃদেশীয় গ্যাস পাইপলাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেন, এ পাইপলাইনের ফলে ‘দেশগুলো সংযুক্ত’ হবে। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে অনেক হতাশামূলক মন্তব্য করা হয়েছিল, কিন্তু আমরা এখন টিএপিআই গ্যাস পাইপলাইনের নির্মাণকাজ দেখছি।’ চার দেশ মিলে ১ হাজার ৮৪০ কিলোমিটার (১ হাজার ১৪৩ মাইল) পাইপলাইন নির্মাণ করছে। ২০২০ সালের মধ্যে তুর্কমেনিস্তানের গালকিয়ানিশ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের ওপর দিয়ে পাইপলাইন নির্মাণে নিরাপত্তার প্রশ্নটি বড় আকারে দেখা দিয়েছে। তারপরও বার্ষিক ৩ হাজার ৩০০ কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করার আশা করা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানে। চীনের বাজারের ওপর অধিক হারে নির্ভরশীল তুর্কমেনিস্তান আশা করছেÍ গ্যাস রফতানিতে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে এ উদ্যোগটি তাত্পর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে তুর্কমেনিস্তানের প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার হয়ে উঠেছিল চীন। তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট বার্দিমুখামেদভ আরো জানান, তুর্কমেন অংশে পাইপলাইনের নির্মাণ কাজ এখনো অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের কারণে ভারতের প্রতিশ্রæতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিল বিভিন্ন পক্ষ। তবে উদ্বোধনী দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমজে আকবর প্রকল্পটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন একটি অধ্যায় শুরু হলো।’ শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ পাইপলাইন নির্মাণকে ‘আমাদের পারস্পরিক লক্ষ্যের প্রতীক’ হিসেবেও উল্লেখ করেন। এ বিশাল গ্যাসলাইন প্রকল্পের অর্থায়ন কীভাবে হবে, এ নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। ফ্রান্সের এনার্জি জায়ান্ট টোটাল এ প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে এগিয়ে আসেনি। তুর্কমেনিস্তানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম গ্যাস মজুদ রয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার জ্বালানি জায়ান্ট গ্যাজপ্রম তুর্কমেনিস্তান থেকে গ্যাস ক্রয় কমিয়ে দিলে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে দেশটি। ২০১৬ সালে তুর্কমেনিস্তান থেকে গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ