নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : চারিদিকে রব রব- চেলসি মানেই নিঃষ্প্রাণ লিওনেল মেসি। কিন্তু সেটা যে নিছক একটি কাকতাল ঘটনা সেইটাই প্রমাণ করলেন আর্জেন্টাই ফুটবল জাদুকর। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগের ম্যাচে চেলসির মাঠে যখন বার্সেলোনা পরাজয়ের শঙ্কায় তখনই এতদিনের অভেদ্য জাল ভেদ করে দলকে পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করলেন সেই মেসিই।
অবশ্য নামটি যেহেতু বার্সেলোনা সেহেতু ১-১ ড্রতে সান্ত¦না নাও পেতে পারেন ফুটবল ভক্তরা। তাদের জ্ঞাতার্থে বলা প্রয়োজন, বার্সা এদিন হেরে গেলেও কিছু করার ছিল না। স্বভাবসুলভ রক্ষণের শক্ত দেয়াল তুলে মেসি-ইনিয়েস্তা-সুয়ারেজদের আটকে রাখে চেলসি। ধারার বিপরীতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের বারপোস্ট দুইবার স্বাগতিক উইঙ্গার উইলিয়ানকে গোলবঞ্চিত না করলে ম্যাচের ফলটা ভিন্ন হলেও হতে পারত। কিন্তু তা না হওয়ায় স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালান দলটি। এ নিয়ে চেলসির বিপক্ষে টানা ৮ ম্যাচ জয়বঞ্চিত বার্সা, হার দুটিতে। তবে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে আগামী ১৪ মার্চ নিজেদের মাঠ নু’ক্যাম্পে ফিরতি লেগে খেলতে নামবে বার্সেলোনা।
শেষ ষোলের প্রথম লেগে বার্সেলোনা-চেলসির ম্যাচ নিয়ে যতটা না কথা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে মেসিকে নিয়ে। অবশ্য বার্সেলোনার প্রত্যক ম্যাচের আগেই মেসি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেই থাকেন। তবে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের আগে মেসিকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে একটু বেশিই। এর অবশ্য যথেষ্ঠ কারণও আছে। ক্লাব ফুটবলে প্রায় সাড়ে পাঁচশ গোল থাকলেও চেলসির বিপক্ষে কোন গোল নেই মেসির। যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৭টি গোল তার নামের পাশে সেখানে চেলসিকে আটবার পেয়েও জালের দেখা পাননি। অবশেষে নবম ম্যাচে এসে পেলেন সেই সোনার হরিণের দেখা। চলতি আসরে করলেন নিজের চতুর্থ গোল, সব মিলে ৯৮তম।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে নিজেদের মাঠে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দহারা ফুটবল খেলে চেলসি। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিট তো পায়ে বল রাখার সুযোগই পায়নি তারা। প্রথমার্ধে ৭৫ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে চেলিসকে চাপে রাখে আর্নেস্তো ভালভার্দের দল। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। তবে সুযোগ যে আসেনি তা নয়। মেসির উঁচু করে বাড়ানো বল ফাঁকায় দাঁড়িয়েও অনেক বাইরে হেড নেন পাউলিনহো। ধারার বিপরীতে প্রথমার্ধে ভালো দু’টি আক্রমন শানিয়েছিলো চেলসি। ৩৩ ও ৪১ মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডের যোগান দেয়া বল পোস্টে মারেন উইলিয়ান।
দ্বিতীয় অর্ধের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্বাগতিকরা। সেই সুবাদে ৬২ মিনিটেই গোলও আদায় করে নেয়। এবার আর ভাগ্যবঞ্চিত হননি উইলিয়ান। কর্নার থেকে বল পেয়ে যান হ্যাজার্ড। ডি-বক্সের মধ্যে সেই বল যোগান দেন উইলিয়ানকে। মাপা-নিখুত শটে বার্সার জালে বলকে পাঠিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। গোলের আনন্দে নেচে উঠে পুরো স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ। অবশ্য এই আনন্দ খুব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি চেলসি। ৭৫ মিনিটে এবার ভাগ্যদেবি ফিরে তাকান মেসির দিকে। সতীর্থ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার সাথে দারুন বোঝাপোড়ায় বল পেয়ে চেলসির জালে বল পাঠান মেসি।
দ্বিতীয় লেগে এই গোলটিই বার্সার জন্যে সহায়ক হবে বলে মনে করেন দলের উরুগুয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ, ‘দ্বিতীয় লেগে ক্যাম্প ন্যুতে খেলার জন্য আরও জায়গা পাওয়ার জন্য এটা সহায়ক গোল ছিল। নিজেদের মাঠে আমরা আরও শক্তিশালী এবং এ কারণেই গোল করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
তবে ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে নিজেদের রক্ষণের প্রমাণ দিতে প্রস্তুত চেলসিও। ম্যাচ শেষে এদিন এমনটিই জানান দলের কোচ অ্যান্তোনিও কোন্তে, ‘আমরা দেখিয়েছি, রক্ষণের দিক থেকে আমরা একত্রে কঠোর পরিশ্রম করতে প্রস্তুত এবং একই সঙ্গে বল পায়ে আপনি গোলের সুযোগ তৈরি করলে কী হয়। আমি মনে করি, ক্যাম্প ন্যুয়ে আমরা অবিশ্বাস্য কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।’
চেলসি ১-১ বার্সেলোনা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।