বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলার ছোট যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কোন ভাবেই থামছে না। বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে বালু মজুদ ও বিক্রির ঘাট। আর এসব অবৈধভাবে গড়ে উঠা ঘাটের বালু বহনকারী ট্রাক্টরগুলো বেপোরোয়াভাবে যাতায়াত করায় একদিকে যেমন হুমকির পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অপরদিকে গ্রামীণ সড়কগুলোও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, শিবনগর ইউনিয়নের ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী বেলতলী ও গোপালপুর নামক দুটি স্থান বালু মহালের জন্য নির্দিষ্ট করে আতিয়ার রহমান মিন্টু কে সরকারী ভাবে ঘাট ইজারা প্রদান করা হয়েছে। ইজারার শর্তানুযায়ী ইজারাকৃত নির্দিষ্ট ঘাট ব্যতীত অন্য যেকোন স্থানে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। অভিযোগ উঠেছে সরকারী নিয়মনীতি না মেনে ইজারাদার আতিয়ার রহমান মিন্টু নির্দিষ্ট স্থান থেকে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি তার নেতৃতে উপজেলার দৌলতপুর,খয়েরবাড়ী ইউনিয়নসহ ছোট যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এমনকি খোদ ইজারাদার কতৃক সরকারী ডাককৃত ঘাট থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়েও বালু তোলার অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খয়েরবাড়ী ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এনামুল হক ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে নদীর পাশে স্তুুপ করে দেদারছে বিক্রয় করছে। একইভাবে বারাই পাড়া গ্রামের মতি ও তোজাম্মেল হাজী নামে দুইজন ব্যক্তি বারাইপাড়া ঘাট থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। এছাড়াও ইউনিয়নের জানিপুর বাঁধ সংলগ্ন যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে একটি বিশাল এলাকায় গর্ত করে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি। এদিকে নদী থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে যেমন কৃষকের কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে, অন্যদিকে বালু বোঝাই ট্রাক্টর চলাচল করায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী বারাই পাড়া গ্রামের মতি’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন শুধু আমরাই নয়,আরো অনেকেই এভাবেই ছোট যমুনা নদী থেকে বালু তুলছে এবং ঘাট মালিক আতিয়ার রহমান মিন্টু’র সাথে কথা বলে,কন্ট্রাকের মাধ্যমেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এদিকে বালু মহালের ইজারাদার আতিয়ার রহমান মিন্টুর সাথে কথা বললে তিনি জানান,নদীতে পানি থাকায় বালু তোলা সম্ভব হচ্ছে না যে কারনে মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। তবে সারা দেশেই মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে,অন্যরা যদি তুলতে পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না। নির্দিষ্ট ঘাট ছাড়া অন্য কোথাও যারা বালু তুলছে তারা মিথ্যা কথা বলেছে তাদের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের কে অনেক বার বাধা প্রদানের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে তারা শুনছে না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী জানান, ইজারাকৃত নির্দিষ্ট ঘাট ব্যাতীত অন্য যেকোন জায়গা থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। ইজারাদার নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া অন্য স্থানে বালু উত্তোলন করতে পারবে না। বিষয়টি অনেকে জানিয়েছে,ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশও পাঠানো হচ্ছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।