নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অস্ট্রেলিয়াকে গুড়িয়ে রেকর্ড শিরোপা
স্পোর্টস ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুই স্টেডিয়ামে সব মিলে হাজার চারেক দর্শক। তাদের সামনেই রেকর্ড চতুর্থবারের মত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা তুলে ধরলো ভারতীয় যুবারা।
তিন সপ্তাহ আগে এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু করেছিল ভারত। ফাইনালেও সেই অস্ট্রেলিয়াকে গুড়িয়ে চ্যম্পিয়নের মুকুট মাথায় তোলে রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা। মাঝের ম্যাচগুলোতেও বলতে গেলে পাত্তাই পায়নি কোন দল। সেবার অজিদের ১০০ রানে হারিয়েছিল ভারত, এবারের ঐতিহাসিক জয়টি ৮ উইকেট ও ৬৭ বল হাতে রেখে। আগেরবার সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দুরে থাকতে দূর্ভাগ্যজনক হিট আউট হয়ে ফিরেছিলেন মনাজোত কালরা। এবার আর সেই ভুল কাজ করেননি ভারতীয় ওপেনার, উপহার দিয়েছেন অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসরে এটি ভারতের দ্বিতীয় সফল রান তাড়ার রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার টাউনভিলিতে ২০১২ সালের সেই ফাইনালেও স্বাগতিকদের করা ২২৬ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। এবারের লক্ষ্য ছিল আরো কম, মাত্র ২১৭। যে রান তাড়া করতে গিয়ে কোন বেগই পোহাতে হয়নি সাবেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রবিড়ে দিক্ষিত ভারতীয় যুবাদের। দলীয় ৭১ রানে প্রথম ও ১৩১ রানে সিরিজ সেরা শুবমান গুলের উইকেট দুটি হারিয়ে হেসেখেলেই লক্ষ্য পূরণ করে পৃত্থিরাজ শ’য়ের দল। ১০২ বলে ৮টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারিতে হার না মানা ইনিংসটি খেলেন কালরা। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হার্ভিক দেশাই অপরাজিত ছিলেন ৪৭ রানে।
রেকর্ড শিরেপা জয়ের সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার সামনেও। কিন্তু ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম ধাক্কাটা খায় তারা। এরপরও টসজয়ী দলটি ভালো সংগ্রহের পথেই ছিল। চতুর্থ উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়েন জনাথন মার্লো ও পরম উপাল। কিন্তু বোলারদের দুর্দান্ত দলীয় আক্রমণে ম্যাচে ফেরে ভারত। উপাল ৩৪ রানে ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে ছিলেন মার্লো। কিন্তু দলীয় ২১২ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মার্লো ৭৬ রান করে আউট হতেই মাত্র ৪ রানে শেষ ৪ উইকেট হারায় অজি যুবারা, ৩৩ রানে হারায় শেষ ৬ উইকেট। ভারতীয় চার বোলার নেন ২টি করে উইকেট।
ম্যাচ শেষে উচ্ছ¡সিত ভারতীয় অধিনায়ক পৃথ্বি শাহ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার অনুভূতি কি সত্যিকার অর্থেই তা বোঝাতে পারবো না। এটা ছিল ফাইনাল, মানজোতের ব্যাট থেকে গুরুত্বপূর্ণ শতরান এসেছে। গিলও দারুণ ব্যাটিং করেছে। এছাড়া দুই পেসার মাভি ও কমলেশ পুরো টুর্ণামেন্টেই ছিল দুর্দান্ত।’ ম্যাচ সেরা কালরা মনে করেন ফাইনালের উইকেটটা পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি দারুণ উপভোগ করেছি। কন্ডিশনও দারুণ ছিল। উইকেট ততটা কঠিন ছিল না।’ যুবাদের কৃতিত্বে উচ্ছ¡সিত কোচ দ্রাবিড়ও, ‘ছেলেরা যেভাবে খেলেছে এবং যেভাবে নিজেদের মেল ধরেছে তাতে ওদের নিয়ে আমি গর্বিত।’
৬ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ১২৪ গড়ে ৩৭২ রান করে সিরিজ সেরা হন শুবমান গিল। এর আগে ২০০০, ২০০৮ ও ২০১২ সালে যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত।
স ং ক্ষি প্ত স্কো র
অস্ট্রেলিয়া অ-১৯ : ৪৭.২ ওভারে ২১৬ (মারলো ৭৬, উপাল ৩৪, এডওয়ার্ড ২৮; পোরেল ২/৩০, রয় ২/৩২, শিভা সিং ২/৩৬, নগরকতি ২/৪১)।
ভারত অ-১৯ : ৩৮.৫ ওভারে ২২০ (মানজোত ১০১*, দেশাই ৪৭*, গিল ৩১; সাটারল্যান্ড ১/৩৬, উপাল ১/৩৮)।
ফল : ভারত অ-১৯ ৮ উইকেটে জয়ী।
ফাইনাল সেরা : মানজোত কালরা (ভারত)।
আসর সেরা : শুবমান গিল (ভারত)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।