পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বিলুপ্তির বিধান রেখে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ার ৬২ ধারায় বলা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারার বিলুপ্তি হবে। এখন প্রশ্ন হলো বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল হলে ওই ধারায় সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে সেগুলোর কি হবে?
মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সোমবার পুলিশ সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘৫৭ ধারার পুরনো মামলা চলবে। আইন যখন তৈরি হয় বা ওই আইন যখন সংশোধন বা রদ হবে, ওই আইনের অতীতের সব কর্মকান্ড কিন্তু অব্যাহত থাকবে। তা কখনও বাতিল হয় না’। সদরদপ্তরের নির্দেশ ছাড়া ওই ধারায় মামলা নিতে নিষেধ করেছেন জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘এরপর যেসব মামলা নেওয়া হয়েছে তা যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হয়েছে। সত্যতা আছে তাই কিছু মামলা নেওয়া হয়েছে।’ নতুন আইনেও ৫৭ ধারার মত কিছু ধারা রয়েছে সেক্ষেত্রেও একই নির্দেশ পুলিশ সদরদপ্তর থেকে থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন আইন যেটা হবে সেটা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না’।
এদিকে ৫৭ ধারায় দায়ের করা পুরনো সব মামলা বাতিলের দাবী জানিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিকরা। তারা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন -২০১৮ এ তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা বাতিল হওয়ায় সাংবাদিকদের নামে দায়ের করা আগের সব মামলা প্রত্যাহারে দাবী জানান। গতকাল ‘সময় টিভি চ্যানেলে’ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘এটা ভিন্ন নামে একই জিনিস। আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারার যে অপব্যবহার হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একই ধারায় অপব্যবহার হবে বলে ধারনা করছি। আমরা আশা করবো সরকার এই বিষয়গুলো নিয়ে আরোও বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলবে। একাত্তর টেলিভিশনের পরিচালক (বার্তা) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, নতুন ধারা এবং ৫৭ ধারার মধ্যে পার্থক্য নেই। দুই একটি জায়গায় পরিবর্তন আসছে। মামলা জামিন-যোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু যে কোন সময় গ্রেফতার করা হয়রানি করা কিন্তু নতুন আইনে থেকেই যাচ্ছে। এখানে আমাদের আপত্তি আছে। সাংবাদিকদের মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এখন রাষ্ট্র নিজে উদ্যোগ নিয়ে ৫৭ ধারায় দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।