পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আহত ১৫ আটক ১৫
গাজীপুর জেলা শহরের ট্রাস্ট কমিউিনিটি সেন্টারে গতকাল রোববার দুপুরে বিএনপি’র যৌথ কর্মীসভা শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের আকস্মিক লাঠিচার্জে বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. নাহিন আহমেদ মমতাজী (৪৫), শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লা (২৮), গাজীপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, জেলা ছাত্রদল কর্মী ফারুক আহমদ (২৭), এরশাদ সরকার (২৫), মো. কবির (২৮) ও দীপু’র (২৫) এর নাম জানা গেছে। এসময় পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠণের ১৫জন কর্মীকে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে গাজীপুর সদর থানা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পূবাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সোলায়মান খান, বিএনপি কবির মন্ডল (৫০), কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক গাজী জুয়েল, ছাত্রদল কর্মী ফারুক (২৭), বাবলু মিয়া (৩৫), এরশাদ সরকার (২৫), কবির হোসেন (২৮) ও দীপু (২৫), এর নাম জানা গেছে।
গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন জানান, গাজীপুর জেলা শহরের মধ্যছায়াবিথী ট্রাস্ট কমিউনিটি সেন্টারে রোববার সকাল পৌণে ১১টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে জেলা বিএনপির যৌথকর্মীসভা শুরু হয়। এতে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মো. জয়নুল আবেদীন ফারুক। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. সাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মাজহারুল আলম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি মো. শাহজাহান ফকির, গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সুরুজ আহমেদ, গাজীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া হান্নু প্রমুখ।
অনুষ্ঠান চলাকালেই পুলিশ পুরো কমিউনিটি সেন্টারটি ঘিরে ফেলে। পরে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে দুপুর একটার দিকে প্রধান ফটক দিয়ে নেতা-কর্মীরা কমিউনিটি সেন্টারটি ত্যাগ করার সময় পুলিশ আচমকা তাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। অবস্থা বেগতিক দেখে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পেছনের সীমানা প্রাচীরের ছোট ফটক খুলে পালিয়ে রক্ষা পায়। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হয়।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি কোন অনুমোদন ছাড়াই ওই কর্মীসভা আয়োজন করে। পরে সেখানে অভ্যন্তরীণ কোন্দালের জেরে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সেখানে যায় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১৫জনকে আটক করা হয়।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন পুলিশের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন কোন্দল সৃষ্টি হয়নি এবং নিজেদের মধ্যে কোন সংঘর্ষ হয়নি। এধনের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। পুলিশ তাদের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আড়াল করতেই এমন বক্তব্য দিচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।