পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : নির্মাণাধীন স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে দ্বিতীয় স্প্যানটি গতকাল রোববার সকালে বসানো হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে প্রকল্পের শরীয়তপুরের জাজিরা অংশে সেতুর ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রকল্পের একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে সেতুর মোট ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হলো।’ গত শনিবার থেকে স্প্যানটি খুঁটিতে বসানোর কাজ শুরু হলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে যাওয়ায় বসানোর কাজ স্থগিত রাখা হয়। পরে রোববার বেলা উঠতেই স্প্যানের কাজ শুরু হয়। ৭-বি নম্বর বিশাল স্প্যানটি পিলারের ওপর নেওয়া হয়। সেখানে এখন সেট করার প্রক্রিয়া চলছে। বেয়ারিং ও অস্থায়ী কাঠামোর সঙ্গে এটি সেট করা হয়। তবে ৩৮ নম্বর খুঁটিতে স্থাপন করা ৭-এ নম্বর প্রথম স্প্যানের সঙ্গে ওয়েল্ডিং করার পর এ অস্থায়ী কাঠামো সরিয়ে নেওয়া হবে।
ওই প্রকৌশলী জানিয়েছেন, স্প্যানটি খুঁটির ওপর বসিয়ে দিলেও ক্র্যান দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, পুরোপুরি ভার দেওয়া হয়নি। প্রথম স্প্যানের মতোই আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হওয়ার পর ক্রেনটি সরিয়ে নেওয়া হবে। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়। দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ আরো একধাপ এগিয়ে গেল। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে এ সেতুর নির্মাণকাজ প্রায় ৫৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৮ জুন চায়না মেজর ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। কংক্রিট ও ইস্পাতের তৈরি দ্বিতলবিশিষ্ট এ সেতুতে মোট পিলার বা খুঁটি থাকবে ৪২টি। বর্তমানে প্রায় ৫০ ভাগ পিলার নির্মাণের কাজ চলমান। এক পিলার থেকে আরেক পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। মোট স্প্যান বসানো হবে ৪১টি। একেকটি স্প্যানের ওজন তিন হাজার টনের বেশি। পদ্মা সেতুর প্রতিটি পিলারের নিচে ছয়টি করে পাইল বসানো হচ্ছে। এ সেতুতে মোট ২৪০টি পাইল বসানো হবে। এ পাইলগুলো ৯৬ থেকে ১২৮ মিটার মাটির গভীরে বসানো হচ্ছে। সূত্রমতে, এ পর্যন্ত শতাধিক পাইল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতলবিশিষ্ট এ সেতুর নিচ দিয়ে চলবে রেলগাড়ি আর ওপর দিয়ে যাতায়াত করবে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। পানির স্তর থেকে ৬০ ফুট উঁচু হবে মূল সেতু। সেতুর প্রস্থ ৭২ ফুট, যা হবে চার লেনবিশিষ্ট। এ সেতু নির্মাণে চার হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি জনবল দিন-রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।