Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাবি সিনেট নির্বাচনে বিএনপির এমন পরাজয় কেন

মহিউদ্দিন খান মোহন | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে ২৪টিতেই জিতেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা। মাত্র একটিতে জয়লাভ করেছে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী। বিএনপির ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর আ ফ ম ইউসুফ হায়দার নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় সিনেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে বিএনপি প্যানেলের এমন ভরাডুবি সঙ্গতকারণেই আলোচনার বিয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। যেখানে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত’ বলে একটি ধারণা রয়েছে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট নির্বাচনের মতো মর্যাদার লড়াইয়ে কেন এভাবে পরাজয় হলো তা কারোরই বোধগম্য হচ্ছে না। এ নির্বাচনে যারা ভোটার ছিলেন তারা সবাই বিশ্বদ্যিালয়ের ডিগ্রিধারী শিক্ষিত এবং তাদেরকে কোনো কিছু বলে ভুলিয়ে ভোট নেয়ার অবকাশ ছিলো না। তারা সবাই সচেতন নাগরিকও বটে। তাছাড়া এ নির্বাচনে কোনো ধরেনর কারচুপি হয়নি, কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেনি। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এমনকি ঢাকার বাইরে যেসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব স্থানেও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। আর পরাজিত প্যানেল থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়নি। 

এ অবস্থায় যে প্রশ্নটি সামনে এসে দাঁড়ায় তাহলো, তবে কি দেশের শিক্ষিত সচেতন নাগরিক সমাজের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে? নাকি বিএনপি নেতৃত্ব এ নির্বাচনকে তেমন একটা আমলে নেননি? নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপি নেতৃত্ব এর কারণ অনুসন্ধান বা পর্যালোচনা করেছেন কীনা জানি না। তবে, যারা বিএনপির সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী তাদের অনেককেই হতাশা ব্যক্ত করতে দেখা গেছে। তারা বলেছেন, সম্ভবত বিএনপি নির্বাচনটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি অথবা ভেবেছিল, বিএনপির দৃশ্যমান জনপ্রিয়তার প্রতিফলন এ নির্বাচনেও ঘটবে।
বিএনপি প্যানেলের এ নির্মম পরাজয় নিয়ে কে কী ভাবছেন তা জানতে আমি আমার ফেসবুক একাউন্টে একটি ¯ট্যাটাস পোস্ট করেছিলাম। আমার পোস্টটি ছিল এ রকম, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের রেজিষ্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের এই ভরাডুবির কারণ কি? আপনাদের মতামত দিন।’ তাতে অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করেছেন। সেগুলোর মধ্যে সর্বাধিক মন্তব্যে এসেছে প্রার্থী মনোনয়ন সঠিক না হওয়ার কথা। কেউ লিখেছেন, বিনএপি প্যানেলের প্রার্থীরা ভোটারদের সাথে সে রকম যোগাযোগ করেননি। ভোট প্রার্থনাও করেননি। একজন লিখেছেন, তিনি ভোট দিতে গেলে সরকার দলীয় প্যানেলের ছয়টি লিফলেট পান, যা ওই প্যানেলের কর্মীরা তাকে দেয়। পক্ষান্তরে জাতীয়তাবাদী প্যানেলের লিফলেট পান একটি। আরেকজন কয়েকজন প্রার্থীর নাম দিয়ে লিখেছেন যে, অজনপ্রিয় রাজনৈতিক ও নন প্রফেশনাল ব্যক্তিদের জন্য ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তিনি আরো লিখেছেন, জেলায় জেলায় গিয়ে কিছু নেতার সাথে ফেসবুক ফটোসেশন আর নৈশভোজ করেই তারা ভেবেছিলেন জয়ী হয়ে যাবেন। ভোটারদের সাথে ছিল না কোনো কমিউনিকেশন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা যেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছেন, এমনকি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রেখেছেন, সেখানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা কারো সাথে তেমন যোগাযোগ করেননি। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ৪৩ হাজার ৯৯৭ জন ভোটারের তালিকা যারা ঠিকমত রাখতে পারেন না, তারা কীভাবে জয়ী হবেন? মন্তব্যকারীদের বেশিরভাগই প্রার্থী নির্বাচনে ভুল এবং পরিকল্পিত ও সমন্বিত প্রচারণার অভাবকে এ পরাজয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সদ্য বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্রজীবন সমাপ্তকারী, যাদের গা থেকে এখনও ছাত্রদলের গন্ধ যায়নি, তেমন কয়েকজনকে প্রার্থী করা নিয়ে। তাদের যুক্তি হলো এদের কোনো প্রফেশনাল পরিচিতি নেই দলীয় পরিচয় ছাড়া। শুধু দলীয় পরিচয়ে যে এ ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক নির্বাচনে ভোটারদের আকৃষ্ট করা যায় না, বিএনপি নেতৃত্ব বোধকরি সেটা ভাবেনি। আর ভোট চাওয়ার ব্যাপারে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা যে গা ছাড়া অবস্থায় ছিলেন তার অনেক প্রমাণ আছে। সাবেক দু’জন অতিরিক্ত সচিব স্বামী-স্ত্রী। তারা উভয়েই ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং আজীবন গ্র্যাজুয়েট সদস্য হিসেবে ভোটার। তারা বিএনপি ঘরানার লোক হিসেবেই পরিচিত। খোদ বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাথেও রয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ জানাশোনা। তারা বললেন, বিএনপি প্যানেলের কেউ তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি, ভোট চাওয়া তো দূরের কথা। তারা আক্ষেপ করে বললেন, বিএনপির এমন দুরবস্থা যে, কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত ঢাকা অফিসার্স ক্লাব নির্বাচনেও তাদের সমর্থিত প্যানেল দিতে পারেনি।
কেউ কেউ বলতে পারেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচন বা অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচন দেশের রাজনীতিতে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এসব নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় রাজনীতি বা জাতীয় নির্বাচনের ব্যারোমিটারও নয়। সুতরাং এসব নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপাত দৃষ্টিতে কথাটা যৌক্তিক মনে হতে পারে। তবে, একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে এসব নির্বাচনের ফলাফলের অবশ্যাম্ভাবী প্রতিক্রিয়া অনুধাবন করা সহজ হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের মতো একটি মর্যাদাবান প্রতিষ্ঠানের একটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া মানে সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহের কাঁটা বিঁধে যাওয়া। যারা রাজনীতির ঘোরপ্যাঁচ অত বোঝেন না, সেসব সাধারণ মানুষ এটা মনে করতেই পারেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত মানুষেরা যখন বিএনপিকে ভোট দেয়নি, তাহলে বোধ হয় দলটি আর আগের মতো নেই। তাছাড়া এ ফলাফলকে আওয়ামী লীগ বিএনপিবিরোধী প্রচারণায় একটি শানানো অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে। তারা বলবে যে, সচেতন শিক্ষিত সমাজ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ প্রচারণা কিছুটা হলেও যে বিএনপির ক্ষতি করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন অনেকের সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে, তারা প্রায় সবাই এ ভরাডুবির জন্য অদূরদর্শিতা এবং নির্বাচনী কাজে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন। একটি নির্বাচনে জিততে হলে যে ধরনের টিম ওয়ার্ক করতে হয়, বিএনপি তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক সময় মনে হয়েছে, বিএনপি সিরিায়সলি নেয়নি এ নির্বাচনকে। কেন্দ্রীয় বিএনপির যে রকম তদারকি দরকার ছিল তা করা হয়নি। এ জন্য বিএনপি সমর্থক প্রায় সবাই দলের অগোছালো সাংগঠনিক অবস্থাকে দায়ী করছেন। তারা বলেছেন যে, বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং তাতে ‘আশি শতাংশ’ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে এতটাই বিভোর যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচন নিয়ে ভাবার সময়ই তারা পাননি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, একটি বিশ্ববিদ্যালযের ২৫ জন গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে যে দল সঠিকভাবে সমন্বয় করতে পারে না, তিন শ’ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে সে দল কীভাবে সঠিকভাবে কাজ করবে?
এটা ঠিক যে, দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও এ দলটিকে পছন্দ এবং সমর্থন করে। দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যেখানেই যাচ্ছেন মানুষের ঢল নামছে। এটা যেমন তার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার বহিঃপ্রকাশ, তেমনি দল হিসেবে বিএনপির প্রতি জনসমর্থনেরও প্রমাণ বহন করে। কিন্তু এ বিপুল জনসমর্থন থাকা সত্তে¡ও কেন বিএনপি তাদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে পারছে না বা সঠিক কৌশল প্রয়োগে ব্যর্থ হচ্ছে তা নিয়ে অবশ্যই ভাববার অবকাশ আছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি সাংগঠনিকভাবে এখনো দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দলটি এখন স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে অবস্থায় আছে। বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। সে কাউন্সিলে দলটির গঠণতন্ত্র সংশোধনী পাশ করেছিলেন অংশগ্রহণকারী কাউন্সিলররা। ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। কিন্তু অদ্যাবধি সে গঠণতন্ত্র মুদ্রণ করা হয়নি। এর কারণ কী? অনেকে বলছেন যে, গঠণতন্ত্র মুদ্রণ করা হয়নি বিশেষ কিছু কারণে। তন্মধ্যে একটি হলো ওই গঠণতন্ত্র মুদ্রিত হলে কারো কারো ভাগ্য বিপর্যয় ঘটতে পারে। কেননা, সেখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংশোধনী ছিল ‘এক ব্যক্তির এক পদ’ নীতির বাস্তবায়ন। আর সেটা বাস্তবায়ন হলে কারো পক্ষে এক সাথে দুই বা ততোধিক পদে আসীন থাকা সম্ভব হবে না। আর এজন্য দৃশ্যমান কোনো সমস্যা না থাকা সত্তে¡ও গঠণতন্ত্র ছাপানো হচ্ছে না।
অন্যদিকে অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে সারাদেশে জেলা উপজেলা কমিটি পুনর্গঠনের কার্যক্রম শুরু করলেও দুই বছর অতিবাহিত হলেও তা শেষ করতে পারেনি দলটি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা সফরে গেলেও কোনো সম্মেলন করতে পারেননি। সরকারের বাধার মুখে তারা ফিরে এসেছেন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে জানান দিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিটি জেলা উপজেলায় দলটির গ্রুপিং এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ফলে প্রায় প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বিএনপি এখন দুই বা ততোধিক ভাগে বিভক্ত। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি এ বিভক্তি দ্রুত নিরসন করতে না পারে, তাহলে এর মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া আগামী সংসদ নির্বাচনে পড়বে। দ্বিধা বা ত্রি-ধা বিভক্ত নেতাকর্মীরা ঐক্যব্ধ হতে না পারলে ভোটের লড়াইয়ে প্রয়োজনীয় শক্তি নিয়ে দলটি দাঁড়াতে পারবে কীনা সন্দেহ রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি মাঠ পর্যায়ে নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের প্রতি জনগণের একটি বড় অংশের সমর্থনকে তাদের পুঁজি হিসেবে ভাবছে। তাছাড়া বর্তমান সরকারের, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্র-যুবলীগের সন্ত্রাসসহ নানাবিধ জনবিরোধী কর্মকান্ডের ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে। এসব নেতিবাচক ভোটও বিএনপির তহবিলে আসবে বলে দলটির নেতাকর্মীরা মনে করছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ মানুষের ভোট এবং দল নিরপেক্ষ মানুষের ভোট নিজেদের বাক্সে নেয়ার জন্য যে ধরনের তৎপরতা চালানো দরকার বিএনপি এখন পর্যন্ত তা শুরুই করতে পারেনি। অনেকের মতে, বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করেন, নিজেদের গরজেই জনগণ তাদের (বিএনপি) ভোটের বাক্স ভরে দেবে। এটা ঠিক নয়। বিএনপি যদি তার শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে না পারে, সম্মিলিতভাবে ভোটারদের কাছে না যায়, তাহলে সরকারবিরোধী দলনিরপেক্ষ ভোট তাদের দিকে টানতে ব্যর্থ হবে। যার প্রতিফলন দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে। এ নির্বাচনের দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে বিএনপি যদি এখনই তার কর্মপন্থা নির্ধারণ না করে, তাহলে অনেক স্বপ্নই এলমেলো হয়ে যেতে পারে।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ