পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদন্ড এবং দুইজনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজার রায় পাওয়া ছয় আসামির মধ্যে বাকি চারজন আপিল করে খালাস পেয়েছেন। গতকাল বুধবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চ এই রায় দেয়।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন- আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রইছ ও জাহিদ হাসান, রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং মাহবুব আকরাম। তাদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম রাজু ছাড়া বাকি চারজন পলাতক। নিন্ম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাজু যে আপিল করেছিলেন, তা খারিজ করে একই সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ পাওয়া ছয়জনের মধ্যে নাজমুস সাকিব তপু ও ইশতিয়াক মেহবুব অরূপের সাজা হাইকোর্টেও বহাল রাখা হয়েছে। শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুন্ড অভি, কামরুজ্জামান সোহাগ এবং মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন। এই ছয়জনের মধ্যে অরূপ পলাতক, বাকি সবাই কারাগারে আছেন। এ মামলার আসামিদের সবাই ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। রায়ের সময় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রানা কাউসার।
ইংরেজি বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র জুবায়ের ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কোন্দলে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। দেড়বছর পর মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে এলে তা হাকিম আদালত থেকে পাঠানো হয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদন্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। দুজন খালাস পান। নিন্ম আদালতে দন্ডিতদের মধ্যে কারাগারে থাকা ফাঁসির আসামি রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং যাবজ্জীবনের পাঁচজন হাইকোর্টে আপিল করেন। একই সঙ্গে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথি আসে হাইকোর্টে। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে মোট আট দিন শুনানি করে হাইকোর্ট। এরপর ৯ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। ######
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।