বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিধস্ত এক নারীর কোলে শিশুর লাশ। ছেলে শিশুর লাশ নিয়ে ওই নারী বসেছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে। এ দৃশ্য দেখে এগিয়ে যান সবাই। খবর দেয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করলেও চলনে-বলনে অপ্রকৃতিস্থ ওই নারীর কাছ থেকে কোন তথ্যই পাননি। তিনি নিজেও নিজের পরিচয় দিতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় গতকাল (বৃহস্পতিবার) আদালতের দ্বারস্থ হয় পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে থাকা ওই নারীকে মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ পারভেজের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত শিশুটির পরিচয় জানতে ডিএনএ টেস্টের আদেশ দেন।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালি উদ্দিন আকবর জানান, বুধবার সন্ধ্যায় চমেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে ওই নারীকে কাপড়ে জড়ানো আনুমানিক পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশুটি নিয়ে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। শিশুটিকে দেখে লোকজনের সন্দেহ হলে তারা এগিয়ে গেলে ওই নারী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। তারাও কোনভাবেই শিশুটিকে ওই নারীর কোল থেকে নিতে পারছিলেন না। বারবার ওই নারী থুতু ছিটিয়ে তাদের সরিয়ে দিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত জোরপূর্বক পুলিশ ওই নারীর কোল থেকে শিশুটিকে নিয়ে দেখেন সেটি মৃত। এসময় ওই নারীকে বারবার জিজ্ঞেস করেও কোন জবাব পায়নি পুলিশ। বারবার ওই নারী বলছিলেন, আমাকে রাঙ্গুনিয়া পাঠিয়ে দাও। তবে রাঙ্গুনিয়া কোথায় পাঠিয়ে দেয়া হবে এ ব্যাপারেও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি ওই নারী। তাকে মানসিক প্রতিবন্ধী বলে মনে হওয়ায় হেফাজতে নিয়ে আদালতে তোলা হয়েছে। শিশুটি কিভাবে মারা গেছে তা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
আদালত ওই নারীকে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদে মহিলা ও শিশু-কিশোরি হেফাজত কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া নারী ও শিশুর ডিএনএ সংরক্ষণ ও পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চমেকের ফরেনসিক বিভাগকে আদেশ দেন। আদালত ৬ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।